বিএনপির কাজ ধ্বংস করা, আর আওয়ামীলীগ করে সৃষ্টি : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির কাজ ধ্বংস করা, আওয়ামী লীগ করে সৃষ্টি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজ ধ্বংস করা আর সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে সেবা দেয় আওয়ামী লীগ। আমাদের একমাত্র লক্ষ্যই মানুষের সেবা করা।

বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত ছয়টি ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। রেকর্ড পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে ভূমি অফিসের দুরবস্থা সবার নজরে এসেছে। এতে আমরা ৪০০টি আধুনিক ভূমি অফিস করে দিয়েছি। একদিক থেকে ভালো হয়েছে যে, ওদের আগুন লাগানোর ফলে নতুন ও আধুনিক ভূমি অফিসের ব্যবস্থা হয়েছে। আর এও প্রমাণ হয়েছে- ওরা ধ্বংস করে। আর আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে মানুষের কল্যাণে। মানুষের সেবা করে যাওয়াটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

পারিবারিক দ্বন্দ্ব দূর করতে ও ভোগান্তি রোধে ভূমির বণ্টননামা ডিজিটালাইজড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। হয়রানি ছাড়াই মানুষ ভূমিসেবা পাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভূমি হচ্ছে মানুষের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ। যা বলতে গেলে মানুষের বন্ধন অবিচ্ছেদ্য ভূমির সঙ্গে। আর আমাদের দেশে এই ভূমি নিয়েই সব থেকে বেশি সামাজিকভাবে হোক, পারিবারিকভাবে হোক নানাভাবে অনেক সমস্যাও দেখা দেয়। ভূমি ব্যবহারে যে জটিলতা দেখা দিত সেটি সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হয়। ভূমি নিয়ে যেসব সমস্যা আছে তা কীভাবে সমাধান করা যায়, সরকার গঠন করার পর থেকে কাজ করা হয়। সাথে সাথে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করা হয়। এজন্য ভূমি ব্যবহার নীতি ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। ভূমি ব্যবহার নীতির মূল কারণ হলো ভূমি যাতে অহেতুক ব্যবহার না হয়, ফসল উৎপাদন করতে হবে, সেই ফসলি জমি যাতে নষ্ট না হয় আবার উন্নয়নও যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সবদিক বিবেচনা করেই ব্যবহারভিত্তিক ল্যান্ড এবং সরকারের উদ্দেশ্যগুলো ভূমি ব্যবহার নীতি ২০০১ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থার ফলে ভূমিখাতে প্রতিদিন ৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হচ্ছে, এ পর্যন্ত ৭৭০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে প্রবাসীরা ভূমি সেবা পোর্টাল ই-খতিয়ান অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলে ডাক বিভাগ তাদের ঠিকানায় জমির খতিয়ান পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেবে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.