
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা জনগণ জানে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
আজ শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুন্নু এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে জনগণ শঙ্কিত। জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করে। যেই নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রতিফল ঘটবে। নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে জনগণ জানে না। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় গণরায়ের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটা সম্ভব নয়।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সরকারি দল নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। অন্য একটি দল তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন করছে। কিন্তু এই দুই দলই তাদের অতীত বক্তব্যে এই ব্যবস্থাকে অকার্যকর প্রমাণ করেছে। জাতির দুর্ভাগ্য গত ৩২ বছর গণতন্ত্রের কথা বলে এই উভয় দল পালাক্রমে ক্ষমতায় থেকে একটা সর্বজন গৃহীত নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন করে নাই। গণতন্ত্রকে উভয় দল জনগণকে ধোকা দেওয়ার মন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আর ক্ষমতায় গিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি ধ্বংস করেছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করব। আমরা আমাদের প্রস্তাবিত সারা বিশ্বে স্বীকৃত আনুপাতিক হারে নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তন করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, অদক্ষতায় এই মৌলিক অধিকার চিকিৎসা—এখন সাধারণ মানুষের কল্পনামাত্র। সেবার অঙ্গীকার করা ডাক্তাররা ট্রেড ইউনিয়নের মতো সংগঠন করে অসুস্থ রোগীদের জিম্মি রেখে আন্দোলন করে। এটা জাতির দুর্ভাগ্য। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করছেন, কিন্তু মানুষের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা উন্নয়নে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। যেকোনো একটি মেগা প্রকল্পের টাকাই সবকটি উপজেলায় বিশেষায়িত হাসপাতাল করা সম্ভব ছিল। কিন্তু গত ৩২ বছরে মানুষের চিকিৎসার উন্নয়নে কোনো সরকার কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা প্রতিটি উপজেলায় জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছিলাম। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে এই খাতটি ঢেলে সাজিয়ে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেব।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সেলিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট লিয়াকত, ভাইস চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, সুমন আশরাফ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জাকির হোসেন মৃধা, যুগ্ম সম্পাদক সমরেশ মণ্ডল মানিক, ক্বারী ইসারুহুল্লাহ আসিফ, আক্তারুজ্জামান খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু সাঈদ স্বপন, মো. ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, আজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন, জায়েদুল ইসলাম জাহিদ, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া রাজু, আবুল হাসনাত আজাদ, মো. আনোয়ার হোসেন, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কামাল, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মো. শফিউল আজম চৌধুরী লিটন, তরিকুল ইসলাম বাবু, রফিকুল ইসলাম, জাহের আলী প্রধান, আফজাল হোসেন মালিহা, হাবিবুল্লাহ ইসলাম বাবলু, মীর জিয়াউল হক, মীর মো. আনিসুজ্জামান মিলন, আব্দুল কাদির, প্রিন্স দুলাল, মো. কামরুল ইসলাম, মো. জামাল বিশ্বাস, রুহুল আমিন রাজিব, আব্দুল মালেক, আনোয়ার হোসেন সোহেল, মো. আলাউদ্দিন রায়হান, ডা. আব্দুস সালাম, এবিএম হালিম হাওলাদার, মো. নাজমুল হুদা লাভলু, জাহিদুল ইসলাম, এইচএম রনি ও জাতীয় পার্টি নেতা খলিলুর রহমান।