
বৃটিশ রাজপরিবারের উইন্ডসর এস্টেটের প্রাসাদ থেকে কার্যত উচ্ছেদ করা হলো প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেলকে। এই ঘটনার জেরে বৃটেনে আর কোনও বাসা রইল না রাজপরিবারের সদস্যের। উইন্ডসর এস্টেটের ফ্রগমোর কটেজটি ২.৪ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে সংস্কার করা হয়। ২০১৮ সালে প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিবাহের উপহার হিসেবে হ্যারি-মেগানকে এই কটেজ উপহার দিয়েছিলেন । দ্য সান এবং ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যারির এই ছেড়ে যাওয়া কটেজ এবার দেওয়া হবে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে। যৌন কেলেঙ্কারির জেরে ইতিমধ্যেই রাজপরিবারে কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছেন রাজা চার্লসের এই ভাই। যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টাইনের সাথে বন্ধুত্বের কারণে অ্যান্ড্রুকে লোকচক্ষু থেকে দূরে রাখা হয়েছিলো । হ্যারি এবং মেগান, সাসেক্সের ডিউক এবং ডাচেস নামে পরিচিত। প্রিন্সের স্মৃতিকথা বিজড়িত “স্পেয়ার” নামক বইটি প্রকাশের মাত্র কয়েকদিন পরেই সম্পত্তি খালি করার এই নির্দেশ চলে আসে রাজকুমারের কাছে । চার্লস দীর্ঘকাল ধরে রাজতন্ত্রের বিস্তৃতি কমিয়ে দেয়ার পক্ষে ছিলেন, তিনি তহবিল পুনর্বিন্যাসের দিকে মন দিয়েছেন ।
রাজপরিবারের দাবি, খরচ কমিয়ে বাজেটে কাটছাঁট করে সাধারণ জীবনযাপনের দিকে জোর দিচ্ছেন সদস্যরা। রাজকীয় জীবন ত্যাগ করার পর হ্যারি এবং মেগান ২০২০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে আসেন। তারপর থেকে বেশ কয়েকটি জায়গায় মুখ খুলেছেন হ্যারি ও মেগান। অপরাহ উইনফ্রের সাথে একটি সাক্ষাত্কারেও যেমন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন রাজকুমার, তেমনি নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারিতে বৃটিশ রাজপরিবারের সদস্য হিসাবে অনেক ভেতরের তথ্য জানিয়েছেন । হ্যারির আত্মজীবনী “স্পেয়ার” জানুয়ারিতে প্রকাশিত হওয়ার সময় হট কেকের মতো বিক্রি হয়ে যায়, কিন্তু তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে যায়।
সূত্র : এনডিটিভি