বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীরবিক্রম মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন বলেছেন, নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে আতঙ্কের মধ্যে রাখার জন্য পঞ্চগড়ের ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মেজর হাফিজউদ্দিন বলেন, দেশে সাইক্লোন হলেও সরকার এখন বিএনপিকে দোষারোপ করছে। প্রশাসনের কোনো জবাবদিহিতা নেই। সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন পঞ্চগড়, বোদা থানা ছিল। কিন্ত তখন এই ধরনের হামলা হয়নি। কারণ, তখন দেশে আইনের শাসন ছিল। পঞ্চগড়ের ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং পরিকল্পিত।
 তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। আলামত দেখে মনে হয়েছে দেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই। কোনো মানুষের অধিকার নেই। মানবতা প্রতিদিনই লুণ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ মানবতাবিরোধী মানবাধিকারবিরোধী একটি রাষ্ট্রযন্ত্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশনে এলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বলেন, ‘হামলাকারীরা তার সফরসঙ্গী হয়ে এসেছে।’ এতেই বোঝা যায়, এ ঘটনায় কারা জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লা, রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র তৌহিদুল ইসলামসহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির প্রতিনিধি দল সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আরিফুর রহমানের বাসায় যায়। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এর আগে বুধবার দুপুরে বিএনপির প্রতিনিধি দল পঞ্চগড়ের পৌরসভার আহম্মদনগড় ও বোদা উপজেলার ফুলতলাসহ কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর পরিদর্শন করে সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading