জেসমিনের মৃত্যু: ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাইকোর্টে

facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
print sharing button

র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

এতে অস্বাভাবিক উচ্চ রক্তচাপকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ওপর আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় র‌্যাবের যেসব কর্মকর্তার তালিকা চাওয়া হয়েছে, তাও দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের নামে তালিকা জমা দিতে সোমবার আদেশ দেন উচ্চ আদালত। আশ্বাস দেন ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট দেখে ন্যায়বিচারের।

এর আগে গত ২৪ মার্চ নওগাঁয় র‌্যাবের হাতে আটকের পর সুলতানা জেসমিন নামে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২২ মার্চ আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর পর শনিবার দুপুরের দিকে সুলতানার লাশ বুঝে পায় তার পরিবার।

সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।

ঘটনার বিষয়ে জেসমিনের ভাই সোহাগ ও তার বোনজামাই রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে অফিস করার জন্য বাসা থেকে বের হন জেসমিন। দুপুরের দিকে লোক মারফত তারা জানতে পারেন র‌্যাবের লোকজন জেসমিনকে আটক করেছে। এর পর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তাকে রাজশাহী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু লাশ বুঝে পাওয়া যায় আরও একদিন পর ২৫ মার্চ দুপুরে।

নিহত সুলতানার মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক বলেন, নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ এলাকায় একটা ভাড়া বাসায় থাকতেন জেসমিন। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় প্রায় ১৭ বছর আগে। তার এক সন্তান রয়েছে। অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে সন্তানকে লালন-পালন করে আসছিল জেসমিন। এর আগে কোনো দিন তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়নি বলেও জানান তিনি।

আটকের বিষয়ে রাজশাহী র‌্যাব-৫ কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার সিপিএসসি মেজর নাজমুস সাকিব বলেন, একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আটক করা হয়েছিল সুলতানাকে। আটকের পর পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে রাজশাহী নেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয় এবং গত শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৫ মার্চ দুপুরে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.