
পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে জাপানের মালিকানাধীন নাকানো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের পোশাক তৈরির কারখানার এক দোভাষীকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নারী শ্রমিকেরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আজ সোমবার সকাল থেকে কারখানার ফটকের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, দোভাষী সুইটি আকতার শ্রমিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণের পাশাপাশি নির্যাতন করেন। এ ছাড়া নারী শ্রমিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। মাতৃত্বকালীন ছুটি না দিয়ে নারীদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করলেও চাকরিচ্যুত করা হয়।
এ সময় শ্রমিকরা দোভাষীর অপসারণসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। বিক্ষোভে কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারী শ্রমিক অংশ নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত এক শ্রমিক বলেন, ‘কারখানার দোভাষী সুইটি আকতার কথায় কথায় শ্রমিকদের মারধর করেন। শুক্রবার ছুটির দিন হলেও ওভারটাইম করতে বাধ্য করেন। অন্য প্রতিষ্ঠানে প্রতি ঘণ্টা ওভারটাইম ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হলেও এ প্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত শ্রমিকদের ২৬ টাকা ৯০ পয়সা ও নিয়মিত শ্রমিকদের ৩৫ টাকা করে ওভারটাইম দেওয়া হয়। কোনো নারীর বিয়ে ঠিক হলে কিংবা কারও কোনো স্বজন মারা গেলেও দোভাষী ছুটি দেন না। কেউ কাজে কোনো ভুল করলে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
কারখানার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কারখানার প্রায় ১ হাজার ৫০০ শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ঈশ্বরদীর মহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান জানান, দোভাষী সুইটি আকতারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অভিযোগের বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব গোস্বামীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’