
নরসিংদীর শিবপুরে বাসায় ঢুকে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করার মামলার অন্যতম আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার গভীর রাতে গাজীপুরের কালিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় শাকিল এজাহারনামীয় চার নম্বর আসামি। তাকে গভীর রাতে স্বজনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সে জানিয়েছে, আরিফসহ তারা চারজন আগে থেকে পরিকল্পনা করে উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করেছে।’
শাকিল (৩৫) শিবপুরে মুনসেফেরচর (ইটাখোলা) এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
গত শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শিবপুর থানা সংলগ্ন নিজ বাড়িতে হারুনুর রশিদ খানের ওপর হামলা হয়।
এ ঘটনার বর্ণনায় শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম রাখিল বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে তার বাড়ির ভেতরে ড্রয়িং রুমে গুলি করেছে। ভোরে ৩ জন লোক তার বাসায় যায়। সেখানে তার সঙ্গে কথা বলার পর সেখানেই তাকে গুলি করেন। গুলি করার পর তিনি নিজেই অভিযুক্তদের বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।’
এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান বাদী হয়ে পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
শাকিল ছাড়াও মামলার আসামিরা হলেন- পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকার, পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মৃত আয়েছ আলীর ছেলে মো. মহসিন মিয়া (৪২), পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার সুরুজ মোল্লার ছেলে ইরান মোল্লা (৩০), কামারগাঁও এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন (৩২) ও নরসিংদী সদর থানার ভেলানগর এলাকার ড্রাইভার নূর মোহাম্মদ (৪৮)।