
গ্রিসে দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮৫ জন। মঙ্গলবার দেশটির টেম্পে শহরের কাছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ট্রেন দুটিতে ৩৫০ জন যাত্রী ছিল। উদ্ধারকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বের করে। এ খবর দিয়েছে আরটি।
খবরে জানানো হয়, সংঘর্ষের মাত্রা এত তীব্র ছিল যে, দু’টি ট্রেনই লাইনচ্যুত হয়ে যায়। অন্তত তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। দু’টি ট্রেনের মধ্যে একটি যাত্রিবাহী ট্রেন ছিল এবং অন্যটি পণ্যবাহী ট্রেন ছিল। যাত্রিবাহী ট্রেনটি রাজধানী এথেন্স থেকে গ্রিসের উত্তর দিকের শহর থেসালোনিকি যাচ্ছিল। ঘটনাস্থল থেকে ২৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরদিক থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রেনটি লারিসা শহর থেকে মধ্য গ্রিসে যাচ্ছিল।
ট্রেনে থাকা এক যাত্রী জানান, হঠাৎই প্রবল একটা ঝাঁকুনি। মনে হচ্ছিল যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। তার পরই ট্রেনের ভিতরটা অন্ধকারে ঢেকে গেল। আমাদের কামরাটা পাশের লাইনে ছিটকে পড়ল। ভিতরে তখন আর্তনাদ আর চিৎকার করছেন যাত্রীরা। একটু পরেই বুঝলাম ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।
রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ট্রেনের বেশ কিছু বগি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। উদ্ধারকারিরা জানিয়েছেন, কয়েকটি কামরার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকেই আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলো থেকে বেশ কিছু মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রিসের থেসালি অঞ্চলের আঞ্চলিক গভর্নর কস্তাস অ্যাগোরাস্টোস রাষ্ট্রীয় মিডিয়াকে বলেছেন, এটি একটি খুব শক্তিশালী সংঘর্ষ ছিল। এটি একটি ভয়ানক রাত, এই ভয়াবহতা বর্ণনা করা কঠিন। ঘটনার পর দ্রুত ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কাছাকাছি লরিসা এলাকায় একাধিক হাসপাতাল এখন ‘জরুরি ভিত্তিতে’ কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা সারারাত আগুন নেভাতে কাজ করেছেন। যোগ দিয়েছে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও। তবে সংঘর্ষের কারণ কী তা এখনও স্পষ্ট নয়।