বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না, জনগণের ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। আওয়ামী লীগ এতটাই দুর্বল যে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকেও ভয় পায়। তাই তারা শান্তি সমাবেশের নামে রাজপথে জনতাকে ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু কোনো লাভ নেই। জনগণের ভয় ভেঙে গেছে। এ সরকারের পতন এখন অনিবার্য।’

আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক প্রতিবাদ সভায় গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের মুক্তি’র দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির।

প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিতর্কিত বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি বাস্তবায়নের পথে। বিতর্কের মধ্যেও তারা ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এনেছে। এই ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার মধ্য দিয়ে চুক্তিকে বৈধ করেছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে সরকার। ভারতের অন্যান্য বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো যে দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে তার চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি মূল্যে বিদ্যুৎ কিনছে অবৈধ এই সরকার। অথচ ভারতবর্ষে কেউ বিতর্কিত এই আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছে না।’ এ সময় সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন গয়েশ্বর।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ইতোমধ্যে ৬৯ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে থেকে পাচার হয়ে গেছে। অথচ টাকার অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। লোক দেখানো মেগা প্রজেক্টের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে সরকারদলীয় লোকজন। প্রকাশ্যে কোটি কোটি টাকা ছিনতাই হচ্ছে, পুলিশ এগুলো উদ্ধার করতে না পারলেও সাইফুল আলম নিরবসহ বিএনপি নেতাদের বিনা দোষে রাতের আঁধারে ঠিকই গ্রেপ্তার করে নিচ্ছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.