
পেশায় সাংবাদিক, লেখক নুরুজ্জামান লাবুর
‘হোলি আর্টিজান- একটি জার্নালিস্টিক অনুসন্ধান’ বইটির প্রথম প্রকাশ আমার একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ সালে
২০১৬ সালের পহেলা জুলাই ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজেন বেকারিতে ঘটে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলা ।
ঘটনা ও ঘটনা পরবর্তী রিপোর্ট-প্রতিবেদন করতে গিয়ে লেখকের সংগৃহীত সকল তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণালব্ধ বই ‘হোলি আর্টিজান- একটি জার্নালিস্টিক অনুসন্ধান’ ।
লেখকের ভাষায়, “পেশাগত দায়িত্বের সূত্রে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনাটি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। ১ জুলাই, ২০১৬ তারিখের ভয়াল সেই রাতের পুরোটা সময় ৭৯ নম্বর সড়কের চৌরাস্তায় অবস্থান করতে হয়েছিল আমাকে। সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। এখানেই শেষ নয়, ওই হামলা-পরবর্তী সময়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) তদন্তকালে এ সংক্রান্ত অনেক প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়েছে আমাকে। পেশাগত এসব দায়িত্ব পালনের মধ্যেই হঠাৎ একদিন হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার বিষয়টি নিয়ে গভীরতর অনুসন্ধান করার বিষয়টি আমার মাথায় আসে। বিশেষ করে অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা, ভেতরে জিম্মি হওয়া মানুষগুলো আর সেইসঙ্গে আমার নিজের অভিজ্ঞতাগুলো মানুষকে জানানোর তাগিদ অনুভব করি। সেই তাগিদ থেকেই পাঠকের সামনে বই আকারে হোলি আর্টিজানকে তুলে ধরার পরিকল্পনায় স্থিত হই।”
বইয়ের ফ্ল্যাপ হতে নেয়া
“হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম ঘটনাগুলোর একটি। এর আগেও একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। কিন্তু কোনো একটি হামলায় একসঙ্গে এত বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার এর আগে হয়নি। এমনকি জিম্মি ঘটনারও কোনো নজির নেই আমাদের দেশে। হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনাটি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা। সারা বিশ্বেও আলোচিত হয়েছে এই হামলা। এই ঘটনার পর দেশি-বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারকে বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের চলাচলের সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে। বিদেশি নাগরিকদের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। পাশাপাশি এই ঘটনা সামাজিকভাবে চাঞ্চল্য ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এই হামলার ঘটনার তদন্তে মোট ২১ জন জঙ্গির জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ। কিন্তু ১৩ জন জঙ্গি বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। আদালত বিচার শেষে ৭ জনের ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে। বইটিতে সেই রাতে অন দ্য স্পট কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কথা যেমন আছে, তেমনি আছে যারা হামলার পরও বেঁচে আছেন তাদের কথা। আছে জঙ্গিদের নৃশংসতা ও নৃশংস পরিকল্পনার কথা। হোলি আর্টিজান নিয়ে এমন অনেক অজানা কথা আছে যা নুরুজ্জামান লাবু তার বইতে প্রথম শোনালেন।”
এই বইটি থেকে তথ্য নিয়ে বলিউডে নির্মিত হয়েছে আলোচিত সিনেমা “ফারাজ”।
এ বছর বইমেলায় বইটির নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।
‘হোলি আর্টিজান- একটি জার্নালিস্টিক অনুসন্ধান’
লেখক : নুরুজ্জামান লাবু
প্রচ্ছদ: সোহেল আশরাফ খান
মূল্য: ৬০০৳ (২৫% কমিশনে ৪৫০৳)
প্রকাশক: অন্বেষা প্রকাশন
(প্যাভিলিয়ন ১২, টিএসসি গেটের পাশে)
এছাড়াও পাওয়া যাবে , রকমারি ডট কম সহ অন্যান্য বই বিপণন কেন্দ্রগুলোতে।
বন্ধুরা, আপনাদেরও পড়ার আমন্ত্রণ।
সকল পাঠক-লেখক-প্রকাশকের জন্য রইলো শুভকামনা।
আইরিন পারভিন লেখক,সাহিত্য সমালোচক এবং শুদ্ধস্বর ডটকমের যুগ্ম সম্পাদক ।