
ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ইতালির উদ্যোগে রোববার সকালে মেসত্রের স্থানীয় একটি মসজিদে মাতৃভাষায় কোরানের তর্জমা, কিরাত এবং কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস এবং বাংলাদেশের শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এসকে এমডি জাকির হোসেন সুমন। প্রধান অতিথি ছিলেন, উপদেষ্টা ফরিদুল ইসলাম আনিস। উপস্থাপনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেল।
সকাল ১০টা বেজে ৩০ মিনিট। মেসত্রের বাইতুল মা’মুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ভরে ওঠে অভিবাসী কোরান প্রতিযোগী শিশু কিশোর, অভিভাবক এবং কম্যুনিটির নেতৃবৃন্দে। চার জন বিচারক- হাফেজ আবদুস সালাম, মাওলানা আবদুল আজিজ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন এবং হাফেজ মোহাম্মদ আবির প্রতিযোগীতার কার্যক্রম শুরু করেন। যথাক্রমে তিন বিভাগে (ক.খ.গ) মোট ৯১ জন শিশু কিশোর প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। বাদ জোহর প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান এবং প্রধান অতিথি ফরিদুল ইসলাম আনিস সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। ক বিভাবে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে, তায়েফ, আলভি এবং রিয়াদ। খ এবং গ বিভাগে আবিদ খান, আয়শা, জান্নত, মিলিসা, ফারাবি, দিয়ান হাজারী।
অভিভাবকদের জন্য ইসলামি কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে, ইমাম হোসেন, মশিউর রহমান এবং মামুন। প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, সোহানুর রহমান উজ্জল, শায়েখ আহমদ, জিয়াউর রহমান সোহেল, জুম্মন অনিক, রফিকুল ইসলাম সবুজ, অহিদুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান এবং দিলরুবা জামান। উল্লেখ্য, মসজিদের দোতলায় মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিলো। কম্যুনিটির বিষিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ শাজাহান কবির ইদ্রিস, সৈয়দ কামরুল সরোয়ার, শসিউর রহমান, সাহাদৎ হোসেন, কাজী রোনাক, আবুল কাশেম সিকদার, শরিফ মৃধা, আমজাদ হোসেন, প্রমূখ।
কম্যুনিটির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের এমন ব্যতিক্রম আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সমাজে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য সাংবাদিকরা শুধু কলম যোদ্ধার ভূমিকাই রাখেন না, নিজেরাও সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। তারা আগামী দিনে প্রেসক্লাবের সাথে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। প্রতিযোগীতার বিচারক এবং স্থানীয় আলেমগণ বলেন, ইসলামে মাতৃভাষার বিশেষ গুরুত্ব আছে। আমাদের মাতৃভাষার জন্য যারা প্রাণ দিেয়েছেন তারা নিশ্চই আল্লাহর কাছে উচ্চ মর্যাদা পাবেন। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি এবং ভেনিসের বাংলাদেশি সাংবাদিকদের এই উদ্যোগকে প্রবাসী শিশু কিশোরদের সঠিক পথে থাকার শিড়ি হিসাবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করি। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে বিরিয়ানি দিয়ে অপ্যায়ন করা হয়। পুরস্কার এবং খাবার স্পন্সর করেছেন যথাক্রমে ফরিদুল ইসলাম আনিস ও মোহাম্মদ আলম। সুত্র, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।