
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, এই মুহূর্তে দরকার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। তার মুক্তির জন্য কৌশলগতভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার কৌশলের কাছে এখন আওয়ামী লীগ হেরে যাচ্ছে বারবার। কারণ বিগত আন্দোলনগুলোতে আওয়ামী লীগ একটি কৌশল প্রয়োগ করতো।
তিনি বলেন, নিজেরাই গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা করে, নিজেরাই বোমা মেরে, বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপাতো। সেই কৌশলকে আজকে পরাজিত করেছে আমাদের নেতা তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফুসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয় জানিয়ে তিনি বলেন, এই হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। কোনো কৌশল নয়। ২০১৮ সালে আপনাদের (আওয়ামী লীগ) বিশ্বাস করেছিলাম। আপনারা আশ্বস্ত করেছিলেন নিরপেক্ষ ভোট করবেন। আপনারা (সরকার) আবার নতুন কৌশল শুরু করেছেন। আপনারা বলা শুরু করেছেন, আপনারা নাকি আবার নিরপেক্ষ নির্বাচন করবেন। আপনাদের আর আমরা বিশ্বাস করি না। যারা বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকা লুট করে, যারা গরীবের টাকা লুট করে, যারা রিজার্ভের টাকা চুরি করে, যারা সাগর-রুনি হত্যার বিচার করতে পারে না, যারা ইলিয়াস আলীকে গুম থেকে উদ্ধার করতে পারে না, যারা কবরে থাকা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয় তাদেরকে আর আমরা বিশ্বাস করি না।
তিনি আরো বলেন, আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোর্টের বারান্দায় থাকবো, আর আপনারা চুরি করবেন, ভোট জালিয়াতি করবেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবেন, এটা আর হতে দেওয়া যাবে না। এই দেশে আর এটা হতে দেওয়া হবে না।
বিএনপির ৭৫ লাখ নেতাকর্মী আজকে জেল খাটছে, হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে দুই কোটি নেতাকর্মী জেলে যাবো, তারপরও আপনার (শেখ হাসিনা) অধীনে আর নির্বাচন করতে দিব না। আপনাকে (শেখ হাসিনা) আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না এই দেশের মানুষ।
জাতীয়তাবাদী নবীন দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানার সঞ্চালণায় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. নিপুন রায় চৌধুরী, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।