শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে। শুষ্ক আবহাওয়ায় শুধু ত্বক যে খসখসে হয়ে যায় তা নয়, শরীরও ভিতর থেকে শুকিয়ে যায়। শরীরে পানির অভাব ঘটলে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাছাড়া শীতকালে পানি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। তেষ্টা না পেলে পানি খাওয়ার কথা প্রায় মনেই থাকে না। তবে পানির ঘাটতি মেটাতে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। শরীরে পানির অভাব যাতে না ঘটে, তার জন্য ফল রাখতেই পারেন প্রতিদিন। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। সুস্থ থাকতে কয়েকটি খাবার থেকে এড়িয়ে চলুন।

উচ্চমাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার

শরীরে পানির ঘাটতির আরও কারণ হচ্ছে উচ্চমাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া। মনে রাখবেন পানিশূন্যতার আশঙ্কা এড়াতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। দুটো খুব বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

লেবুর রস

লেবুর উপকারিতা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। তবে এর উপকারিতা থাকলেও প্রতিদিন বেশি পরিমাণে লেবুর রস পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কফি

শীতকাল মানেই ধোঁয়া ওঠা কফির সঙ্গে বন্ধুত্ব। মাত্রাতিরিক্ত কফি পান করলে তীব্র ডিহাইড্রেশন, মাথাব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দৈনিক ১১০ মিলিগ্রামের বেশি কফি খাওয়া ঠিক নয়।

লবণাক্ত খাবার

উচ্চমাত্রার সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট হয়। কারণ লবণ পানি শোষণ করে নেয়। লবণ শরীর থেকে পানি শোষণ করে নেয়। ফলে এমনিতেই শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমতে থাকে।

ভাজাভুজি

বেশি ভাজাভুজি খেলে পানি তেষ্টা পায়। বেশি ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী নয়। এ ছাড়া, এই ধরনের খাবার বেশি মাত্রায় খেলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই শীতকালে এই ধরনের ভাজাভুজি থেকে এড়িয়ে চলুন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading