
সন্মানীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে নব ২০২৩ বছরের শুভেচ্ছা এবং ঢাকা–মেট্রোরেল চালু করায় ধন্যবাদ। নিউমোলোজীমতে ২+০+২+৩=৭ সংখ্যার ২০২৩ সাল বাংলাদেশের জন্যে শুভ–পরিবর্তনের বছর। আগেও নজির রয়েছে। ৭ সংখ্যা আওয়ামী লীগের জন্যেও শুভ। দীর্ঘবছর পরে নিউমোলোজীমতে ৭ সংখ্যার ১৯৯৬–এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়। এবারও হবে যদি শুভ–পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা পদক্ষেপ নেন।
১৯৮৪ থেকে পেপারসহ তিনি জ্ঞাত যে, ৬ দফার রাষ্ট্রদর্শনের আলোকে আমার রাষ্ট্রচিন্তা, পূনর্গঠণের প্রস্তাবনা ও উদ্যোগ-তাগিদ-প্রচেষ্টায় ১৯৮২ থেকে “উচ্চতর সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশ” গড়ে উঠেছে (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেথা, ১৯৮৫, প্রগতিশীল গণতন্ত্র, ১৯৯১, সংবিধান সংশোধনের দিকগুলো, ২০১০ ও সুপ্রীমকোর্টে পেশকৃত প্রতিবেদন, ২০১১, Essays on Democratic Political Economy, 2022,)।
বাকী মেঘনা (কুমিল্লা) ও পদ্মা (ফরিদপুর) বিভাগ, সুষমমখী জাতীয় বেতন স্কেল, দুইকক্ষ সংসদ, সকল জনপ্রতিনিধিত্বের মেয়াদ ৪ বছর এবং এবং একই সরকার প্রধানপদে সর্বোচ্চ দুইবার হওয়ার ব্যবস্থা চালু হলে “উচ্চ সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ” গড়ার ১ম-পর্ব শেষ হবে। ২য়–পর্বে ১০টি প্রদেশ ও ১টি ফেডারেল অঞ্চল ভিত্তিক হলে বাংলাদেশ ৫ শতাব্দীকাল “উচ্চতর সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র” থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথে ১৯৮৫-৯০ কালে কয়েকবার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেথা, ১৯৮৫–এর বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকেন্দ্রিক সরকারব্যবস্থা ছাড়া অন্যবিষয়ে একমত এবং বাস্তবায়ণে অঙ্গীকারবদ্ধও হয়েছেন। ১৯৮৮-এ বিএনপি ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথে পূর্বকথা ও আমার দেওয়া খসড়ামত আওয়ামী লীগ না ভাঙার জন্যে দুসপ্তাহের মধ্যে ৭ দফাও দেন।
১৯৮০ দশকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বহবার হত্যর চেষ্টা করা হয়। আমার প্রচেষ্টায় ৮টি আঞ্চলিক ক্যান্টঃভিত্তিক প্রতিরক্ষা-কাঠামো স্বনিয়ন্ত্রিত ও গণতন্ত্রমুখী হয় (১৯৯০)। সরকার গঠণের জন্যে আসমআ রবকে যুক্ত করে বাকী ১ সীট আসনের অভাবও মিটিয়ে দিয়েছি। এর পরে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ক্ষমতাসীন হতে ও থাকতে পারেন। ১৫ ও ২১ আগষ্টের বর্বর হত্যার বিচারও করাতে পেরেছেন। অঙ্গীকার ছাড়াও কৃতজ্ঞাবোধে পূনর্গঠণগুলো শেষ করবেন, এ প্রত্যাশায় ২০২৩ সালের শুরুতেই বিষয়গুলো আবার তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেব।
-২-
মেঘনা–পদ্মা বিভাগঃ জেলা-উপজেলা পূনর্গঠণোত্তর বাংলাদেশ ৯/১০টি বিভাগে বিভক্ত না হওয়ায় সন্ত্রাস-দূণীতিসহ বহুমুখী অনৈতিকতা-অনাচার বাড়তে থাকে। জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ১.০% বাড়লেও রাজস্ব-আয় জিডিপির ৬.৫%-এর নীচে নেমে যায় (১৯৯১-র নুতন হিসেবে জিডিপি ২৯% বাড়ে)। আয়কর হার ০-২৫%-এ হ্রাস এবং বরিশাল-সিলেট বিভাগ গঠণে জিডিপির প্রবৃদ্ধির গড়হার ক্রমে ৬.৩% উন্নীত হয়। রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ গঠণে তা ক্রমে ৮.১%- (করোনা না হলে ২০২১/২২-এ ৮.৩% হতো) এবং রাজস্ব আয় জিডিপির ১১.৫%-এ উঠে। কিঞ্চিৎ ব্যয়ে মেঘনা-পদ্মা বিভাগ হলে ৫/৬ বছরে আরও ১.৩% এবং রাজস্ব আয় জিডিপির প্রায় ১.০% বাড়বে।
অন্তর্বর্তীকালীণ মুজিব বেতন স্কেলঃ জিডিপি ও রাজস্ব আয়-ব্যয়ের উপর ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলের প্রভাব জিডিপির (-) ১.১% ও (-) ১.৪% নেগেটিভ। মহার্ঘভাতা দেওয়া হলে বাড়তি রাজস্ব ব্যয়ের কম রাজস্ব আয় হয়। ভারত-পাকিস্তানের মতো জাতীয় আয়–বন্টণর সামঞ্জসে বাংলাদেশেও সুষমমখী জাতীয় বেতন স্কেল চালু হলে, পজেটিভ প্রভাব হওয়ায় শুরুতেই প্রবৃদ্ধির হার ৩.২%। রাজস্ব আয়ও ক্রমে ৪.০% বাড়বে। বেতন-ভাতায় বাড়তি ব্যয়ের চেয়ে রাজস্ব আয় ৫০% বেশী হবে। ১ম জাতীয় বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন বেতন (টাঃ২,০০০/-ও টাঃ ১৩০/-) ১২০ গুণ করতঃ ২০টি স্কেলে রূপায়িত হলেঅন্তর্বর্তীকলীণ মুজিব বেতন স্কেল, ২০২৩ হবে।
সংসদের ২য়–কক্ষ গঠণঃ ২য়-কক্ষ হলো ‘সংসদের জলছাদ’ যা সংসদ ও সংসদীয় সরকারকে ধারাবাহিক ও ক্রিয়াশীল রাখে। জেলাপরিষদ-চেয়ারম্যানের মতো পরোক্ষভোটে চার-বছরের জন্য জেলাভিত্তিক দু’জন প্রতিনিধি নিয়ে ২য়-কক্ষ গঠণ করা। দু’বছর চক্রের জন্যে ১মবার প্রতিজেলার কমভোটপ্রাপ্ত ৬৪ জনের মেয়াদ দু’বছর হবে। শুরুতে সহজ-সরল ভাবে গঠিত হবে। পরে জাতীয় ঐক্যমত্যে সংশোধন করা যাবে। এতে ১ম-কক্ষের “সুষ্ঠনির্বাচন” বাড়বে বিধায় বিরোধী ও বিদেশীরা সমর্থন করবে। আগামী ১ম-কক্ষের নির্বাচনে ফলাফল অনুকূলে না হলেও আওয়ামী লীগের সংসদ ও ক্ষমতায় অংশীদারীত্ব নিশ্চিত থাকবে।
রাষ্ট্রপতিকেন্দ্রিক সংসদীয় সরকারব্যবস্থাঃ সংসদের ২য়-কক্ষ চালুর সাথে সাথে রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতাও ভারত-পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্রপতি উপর ন্যস্ত করতঃ রাষ্ট্রপতিকেন্দ্রিক সংসদীয় সরকারব্যবস্থা বিধান চালু করা। এটা আগের চালুকত স্বৈরমুখী রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা নয়। এ সরকারব্যবস্থায় সংসদ, নির্বাহী ও বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় পৃথক ও স্বকীয় হয়। আর সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনী পদ ৪ বছর মেয়াদী এবং নির্বাহী প্রধান ২ মেয়াদী ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সন্মানীয় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদের মেয়াদশেষে (এপ্রিল, ২০২৩) আপনি রাষ্ট্রপতি হবেন এবং ২ মেয়াদে আরও ৮ বছর জাতির সেবা করতে পারবেন। আপনার উত্তরাধিকারী বোন–ছেলে বা মেয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠিতও করতে পারবেন হবে। এসব জাতি স্বাগত ও সমর্থণ জানাবে।
-৩-
পূর্বে বলা পূনর্গঠণ/পরিবর্তনগুলো আনা হলে এককরাষ্ট্র-মডেলে “উচ্চ সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ” গড়ার ১ম-পর্ব শেষ হবে। বাংলাদেশ ১০টি বিভাগে বিভক্ত হলে সন্ত্রাস-দূণীতিসহ বহুমুখী অনৈতিকতা-অনাচার কমবে। তবে ১৯/২০ কোটি জনতার দেশ এককরাষ্ট্র ব্যবস্থায় ভাল চলে না। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে প্রদেশে বিভক্ত করতেই হবে। বাংলাদেশ ১০টি বিভাগে বিভক্ত হলে ভবিষ্যতে ১০টি প্রদেশভিত্তিক “উচ্চতর সম্মৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ” গঠণের রাষ্ট্র-অকাঠামো গঠিত হবে।
সবদেশেই সরকার এবং সরকারী সংস্থার বেতন-ভাতা চলে জনগণের করের টাকায়। জাতীয় বেতন স্কেল দান-অনুদানের বিষয় নয়। এটা জাতীয় আয়বন্টন ও চলতি জনপ্রতি জিডিআয়ের ভিত্তিতে সরকারী কর্মকারীদের কর্মের পারিশ্রমিক। জুলাই, ২০১৫-এ যখন জনপ্রতি জিডিআয় বছরে ৯৬,০০৪/- টাকা হয়, তখন অর্ধেকে হ্রাস পাওয়া সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন ৪,১০০/- ও ৪০,০০০/- টাকা সংশোধন করতঃ ৮,২৫০/- ও ৭৮,০০০/- টাকা করা হয়। এটা সরকারী বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করা নয়, সমকালীণ সংশোধন করা। সরকারী কর্মকারীদের বেতন-ভাতা কখনই দ্বিগুণ করা হয় না। চলতি জনপ্রতি জিডিআয়ের তুলনায় ক্রমে হ্রাস পেলে সংশোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার মতো নিম্নমেধা, কুশিক্ষিত ও নিকৃষ্ঠমনা ব্যক্তিরাই অসৎ উদ্দেশ্যে এটাকে সরকারী বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে অপ্রচার করতে পারে। জনগণের করের টাকায় তাঁদের জীবণ চলে বলে শুনান। সরকার কার টাকায় চলে???
জুলাই, ২০২২-এ জনপ্রতি জিডিআয় ২,২০,৬২৭/-টাকা হওয়ায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের প্রাধিকার যথাক্রমে ১৮,৫৯৫/- বা ১,৭৯,২৫৩/- টাকা হয়। জুলাই, ২০২৩-এ জনপ্রতি জিডিআয় কম-বেশী ২,৪৫,২৮৬/-টাকা এবং সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের প্রাধিকার যথাক্রমে ২১,০৭৮/- ও ১,৯৯,২৮৬/- টাকা হবে। আর জাতীয় আয় বন্টণ বা জাতীয় মুজরী স্কেল,২০১৯-এর নিরিখে জুলাই,২০২৩-এ সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের প্রাধিকার যথাক্রমে ১৫,৬১০/- ও ৩,১২,২০০/- টাকা হবে। ২০১৫ সালে জনপ্রতি জিডিআয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত বেতন-ভাতা অর্ধেকেরও নীচে হ্রাস পাওয়ায় সমকালীণ সংশোধন করা সরকারের জরুরী দায়িত্ব।
কমিশণ গঠণ ও সুপারিশোত্তর বেতন-ভাতা সংশোধন করতে ন্যুনত এক বছর লাগে। ততদিনে জনপ্রতি আয়ের ভিত্তিতে বেতন-ভাতা ৪০%-এর নীচে নেমে যাবে। এতকম বেতন-ভাতায় পারিবারিক জীবন কেমন চলে, তা জাতীয় বেতন স্কেলভুক্ত কর্মকারী ডঃ ওয়াজেদের স্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার অজানা নয়। তাই জরুরী ও অন্তর্বর্তীকলীণ ব্যবস্থা হিসেবে ১ম জাতীয় বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন বেতন ১২০ গুণ করতঃ (টাঃ২,৪০,০০০/-ও টাঃ ১৫,৬০০/) ২০টি স্কেলে রূপায়িত করতঃ জানয়ারী, ২০২৩-এ অন্তর্বর্তীকলীণ মুজিব বেতন স্কেলের কেবল মূলবেতন এবং জুলাই ২০২৩ থেকে ভাতাগুলো দেয়া। তাহলে প্রায় ৪৫% ব্যয়ে জাতীয় বেতন স্কেলের সংস্কার হবে, জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ও রাজস্ব-আয় বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতির হার কমবে যা মহার্ঘ-ভাতা দেয়া থেকে উত্তম। অতঃপর জাতীয় আয়বন্টন ও চলতি জনপ্রতি জিডিআয়ের ভিত্তিতে সুষমমখী জাতীয় বেতন স্কেল সুপারিশের জন্যে কমিশণ গঠণ সমীচীন হবে।
মেঘনা ও পদ্মা বিভাগ এবং অন্তর্বর্তীকালীণ মুজিব জাতীয় বেতন স্কেল একত্রে চালু হলে চলতি অর্থবছরেই বাড়তি জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ১.৮% ও রাজস্ব-আয় জিডিপির ১.৩% হবে এবং মূল্যস্ফীতির হার ১.২% কমবে। রাজস্ব-মুদ্রা/ঋণ আয় হবে প্রায় ৬১ (=৫২+৯) হাজার কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়ে সরকারী-অনুদানখাতে মূল-বেতনের বাড়তি ব্যয় মিটিয়ে উদ্বত্ত থাকবে। আগামী অর্থবছরেই বাড়তি আয়কর আসবে। তা দিয়ে বয়স্ক, দুটি শিশু ও দারিদ্র ভাতাসমূহ জুলাই, ২০২৩ থেকে ন্যুনত ২,০০০/- টাকায় উন্নীত করাও যাবে। পূর্বে প্রচলিত থাকায় ও অন্তর্বর্তীকালীণ হওয়ায় ‘কমিশন’ গঠণ লাগবে না। আপনি চাইলে, ১০দিনেই চালু করতে পারেন।
-৪-
দেশের বু্দ্ধিজীবিরা ৯টি আঞ্চলিক কন্টনমেন্ট গঠণের কথা কখনো বলেনি। আমার প্রচেষ্টায় ৮টি আঞ্চলিক ক্যান্টঃভিত্তিক প্রতিরক্ষা-কাঠামো স্বনিয়ন্ত্রিত ও গণতন্ত্রমুখী হয় (১৯৯০)। এর পরে আপনি ক্ষমতাসীন হতে ও থাকতে পারেন এবং ১৫ ও ২১ আগষ্টের বর্বর হত্যার বিচারও করাতে পেরেছেন। তাঁরা বাংলাদেশকে ৯/১০টি বিভাগে বিভক্তির কথাও কখনো বলেনি। তাঁরা মেঘনা ও পদ্মা বিভাগ গঠণের কথাও বলবে না। প্রজ্ঞাত না হওয়ায় অন্তর্বর্তীকলীণ মুজিব বেতন স্কেল, ২০২৩ চালুর কথা কখনও বলবে না।
“ফাইভ-পাশ” প্রধানমন্ত্রীও পারিবারিক ব্যয়ের মতো সেতু, রেল, বিদ্যুৎ, রাস্তা উন্নয়ণে রাজস্ব-ব্যয় করতে পরে। তবে প্রবৃদ্ধি ও রাজস্ব-আয় বৃদ্ধি করা কঠিনতর বিষয়। রাজস্ব-বাণিজ্য আয়ের বৃদ্ধিতে আপনার কৃতিত্ত্ব কই? আমার প্রচেষ্টায় “উচ্চতর সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশ” গড়ে উঠায় আপনি জনপ্রতি ৬.৯% জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার এবং জিডিপির ১১.৫% রাজস্ব আয়ের সুবিধাভোগী। বিভাগদুটো এবং অন্তর্বর্তীকালীণ বেতন-স্কেল চালু হলে ক্রমে জনপ্রতি ১০.৭% প্রবৃদ্ধির হার ও জিডিপির ১৬.০% রাজস্ব আয়ের সুবিধাভোগী হবেন। তখন আপনমনে আরও স্বপ্ন ও দেশগড়ার কথা বলতে পারবেন। বাংলাদেশেতো মিথ্যাচার, কল্পকথা, অঙ্গীকারভঙ্গ প্রতারণা, ও অনাচার করা রাজনৈতিক বড়নেতাদের অবাধ স্বাধীনতা!
বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি (পুলিশ) দপ্তর স্থাপণ করা হলেই বিভাগ গঠণ সম্পন্ন হয়। অন্যগুলো উন্নয়ণ। চলমান বাজেটে প্রতি বিভাগের বার্ষিক চলতি ব্যয় গড়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা। শুরুতে বিদ্যমান জনবলে একটি বিভাগ চলতি অর্ধেক অর্থবছরে ব্যয় হবে প্রায় ১০ কোটি টাকা। আর দুই হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হবে–এমন “মহামিথ্যা” বলে বিভাগ ২টির গঠণ স্থগিত করলেন! বিভাগ হলে ৫/৬ বছরে আরও আরও ১.৩% জিডিপির প্রবৃদ্ধি, জিডিপির ১.০% রাজস্ব বৃদ্ধি ও সন্ত্রাস-দূণীতিসহ অনাচার কমার কথা কোথায় গেল? নিজের স্বার্থরক্ষা হওয়ায় আমার তাগিদে বছরে ৩/৪ হাজার কোটি টাকার ব্যয়ের ৯ম আঞ্চলিক ক্যান্টঃও গঠণ করেছেন। কোথায় গেল আপনার অঙ্গীকাররক্ষা ও কৃতজ্ঞাবোধ???
জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ১.৮% ও রাজস্ব-আয় জিডিপির ১.৩% বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতির হার ১.২% কমবে যেনেও তাগিদমত অঙ্গীকারকৃত মেঘনা-পদ্মা বিভাগ ও অন্তর্বর্তীকলীণ মুজিব বেতন স্কেল, ২০২৩ চালু না করা হলে জনগণ বুঝবে, আপনি এখন মহা অকৃতজ্ঞ, মিথাচারী, অঙ্গীকারভঙ্গকারী, ও জনাধিকার-জণকল্যাণ বিরোধী একজন দূর্ণীতিবাদী, অনাচারবাদী ও স্বৈরচারী নিকৃষ্টমনা নেতা। জনগণ আরও জানবে, আমার গড়া জনপ্রতি ৬.৯% জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার এবং জিডিপির ১১.৫% রাজস্ব আয়ের সুবিধায় ক্ষমতাসীন থেকে স্বার্থসিদ্ধি ও মিথাচার করছেন।
৫১% আসনে বিনাভোটে জেতা, ৫১% রাতেরভোটে জেতা, অথবা সংকট দেখিয়ে সংসদের মেয়াদ বাড়ানো বা বাবার মতো স্বৈরচারিতা ও অনাচারের পথ রাজনৈতিক মহাসংকট ও ঝড় ডেকে আনে। তখন ‘তাকে’ ক্ষমতা থেকে জীবিত বা মৃত অপসারণ করা ছাড়া বিকল্প পথ থাকে না। মেঘনা ও পদ্মা বিভাগ, অন্তর্বর্তীকালীণ মুজিব জাতীয় বেতন স্কেল, দুইকক্ষ সংসদ, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনী মেয়াদী ৪ বছর এবং নির্বাহী প্রধান ২ মেয়াদী ব্যবস্থা চালু করা, ইত্যাদি হলো ইতিবাচক পদক্ষেপ ও সহজ-সরল পথ। জনসমর্থন, জনভোট, গণসন্মান, ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইতিবাচক কর্মের ফলাফল কখনও নেতিবাচক হয় না। তাই উপদেশ, সাধু সাবধান! কৃতজ্ঞাবোধে অঙ্গীকার রক্ষা করুন।
মোহাম্মদ আহসানুল করিম
১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনর্গঠণ/সংস্কারের উদ্যোক্তা। তিনি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরখা (১৯৮৫), প্রগতিশীল গণতন্ত্র (১৯৯১), সংবিধান সংশোধনের দিকগুলো (২০১০), সুপ্রিমকোর্টে পেকৃত প্রতিবেদন (২০১১), Essays on Democratic Political Economy (2022), Two Submissions (2022) ও উচ্চতর সমৃদ্ধিশীল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠণ (2022)” এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার সম্পর্কিত বই-নিবন্ধের লেখক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলাদেশ) থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অর্থনীতিতে ও পাবলিক এফেয়ার্সে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।তিনি ১৯৮২ ব্যাচে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদেন