বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে মাফ চেয়ে জনতার কাতারে আসতে হবে। তা না হলে তারা পালাবার পথ পাবে না।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার সিলেটে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে এ কর্মসূচি পালন করে দলটি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের যত উপকরণ আছে সব জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ১০ দফা দাবি আদায় করে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। শেয়ার মার্কেট, স্বাস্থ্যখাত, বিদ্যুৎখাত সকল দেশের সকল খাতে ব্যাপক হাতে চুরি হয়েছে। পদ্মা সেতুসহ উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।’

এ সময় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি।

ভারতের কাছে আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখার অনুরোধ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একজন দ্বায়িত্বশীল মন্ত্রীর পক্ষে এসব কথা মানানসই নয়। কতবড় বেকুব হলে একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন বক্তব্য দেন। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে।’

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় দলনেতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আদাল বলেন, ‘ছাগল চুরি, গরু চুরি, কয়লা চুরি, বিদ্যুৎ চুরি, রিজার্ভ চুরিসহ সব চুরির সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত। আওয়ামী লীগ এখন সব চোরের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।’

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গৌছ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সহ ক্ষুদ্রঋণ ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading