বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- দেশে মানুষ জেগে উঠেছে। আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকারের ক্ষমতা নড়বড়ে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে সরকার নিজ দলের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী মত ও বিশ্বাসের মানুষকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। অশুভ   উদ্দেশ্যেই তারা এধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা করছে। ক্ষমতার নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই আওয়ামী অবৈধ সরকার রক্ত ঝরানোর খেলায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা নিঃসন্দেহে কাপুরুষতা। অশুভ উদ্দেশ্যেই তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী সরকার নিজ দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব চালাচ্ছে।

 

বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি’র ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের গাড়িবহরে হামলা, নেতাকর্মীদের আহত করা এবং শেরপুরে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করাসহ ৬৬ জনের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। ফুলপুরে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি শামসুল হক, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালমান ডুনন, সাধারণ সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ, যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসাইন, জেলা বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনিকে আহত করেছে আওয়ামী দুষ্কৃতকারীরা। বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ফুলপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে উল্টো ফুলপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিপুল কবির, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হক টুটুল, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান সিরাজসহ ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলামকে।

শেরপুরে গুরুতর আহত করা হয়েছে বিএনপি নেতা মো. আব্দুস সাত্তার কাউন্সিলর, মো. হারুন মিয়া, রিপন তালুকদার, ছাত্রদল নেতা সাগর আহাম্মেদ, হৃদয় হাসান, খালিদুজ্জামান আসিফ, আবু আছরা রনিসহ ১০০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে। শেরপুরে শহর বিএনপি সভাপতি এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম রুমি, আমিনুল ইসলাম শিপন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. দুলাল হোসেন, যুবদল নেতা মো. আতাউর রহমান আতা, ছাত্রদল নেতা মো. শওকত হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. মামুন অর রশিদসহ ৬৬ জনের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনা সরকারের চলমান জুলুম-নির্যাতনের খণ্ডচিত্র বলে বিবৃতিতে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.