
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরে এক কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপি বলছে, অন্য গণসমাবেশগুলোর মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে বাধা দিতেই এই পরিবহন ধর্মঘট।
এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক বলেন, শনিবার দুপুরে আট জেলার পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। তারা এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছেন। বিভিন্ন সময় প্রশাসনকে এ বিষয়ে চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেও তারা সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে, ধর্মঘটের বিষয়ে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, কিছু উৎসাহী পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সরকারকে এই পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে সহযোগিতা করছেন। তারা এ দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের বিরুদ্ধে শুধু ধর্মঘট নয়, হরতাল ডেকেছেন। অর্থাৎ তারা জনগণের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকেছেন। প্রত্যেকটা সমাবেশের আগে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সমাবেশ বিপুলভাবে সফল হয়েছে। যত ধর্মঘট আর যা–ই দেওয়া হোক না কেন, রাজশাহীতে আগামী ৩ ডিসেম্বর হচ্ছে ঢাকার বাইরে শেষ গণসমাবেশ। ওই দিন সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ হবে। শুধু সমাবেশস্থল মাদ্রাসা মাঠ নয়, পুরো রাজশাহী শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। আর এই সমাবেশের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করে দেবেন, এ ধরনের ধর্মঘট-হরতাল ডেকে বিএনপির সমাবেশ কোনোভাবেই ব্যর্থ করা যাবে না।