ফেভারিটের তকমা নিয়েই তিউনিসিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ডেনমার্ক। তবে ম্যাচের মধ্যে দেখা যায় ভিন্নরুপ, ডেনিশদের একবিন্দু ছাড় দেয়নি তিউনিসিয়া। মুহুর্মুহু আক্রমণের পরও গোলের দেখা পায়নি কোন দল। শেষ পর্যন্ত তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ড্রতে সন্তুষ্ট থাকতে হলো এরিকসনদের।

কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমনের কমতি ছিল না কোনো পক্ষের। তিউনিশিয়ার জাল লক্ষ্য করে ১১টি শট নিয়েছে ডেনমার্ক। ৫টি ছিল অন টার্গেট। অন্যদিকে সমানতালে লড়েছে তিউনিশিয়াও। ১৩টি শট নিয়েছে তিউনিশিয়া। ১টি ছিল অন টার্গেট। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। তাদের পায়ে ৬১ শতাংশ সময় বল রেখেছিল। দুই গোলরক্ষক কিছু নিশ্চিত গোল সেভ করেছেন। তাতেই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়।

প্রথমার্ধের ২৩ মিনিটে তিউনিসিয়ার ফরোয়ার্ড জেবালি গোল করলেও সহকারি রেফারি গোলটি বাতিল করেন। অফসাইড না হলে এগিয়ে যেতে পারতো তিউনিসিয়া। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছে। দুই দলের গোলরক্ষক ছিলেন দুর্দান্ত। বিশেষ করে ড্যানিশ গোলরক্ষক। একটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে ড্যানিশরা এগিয়ে থাকলেও তারা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারেনি। ৬১ শতাংশ সময় বল ছিল ডেনিশদের পায়ে। তবে, আক্রমণে এগিয়ে ছিল তিউনিশিয়া। ৮ টি শট নেয় তারা, অন্যদিকে ডেনমার্ক নেয় মাত্র ৩টি।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না কোনো দল। ৫০ মিনিটে একটি নিশ্চিত গোল মিস করেছে তিউনিসিয়া মিডফিল্ডার ড্রেগার। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল দিতে পারেননি তিনি। এরপর ফিরতি শটে একটি গোলও দেন। তবে, সহকারি রেফারি ফ্লাগ উঁচিয়ে ধরলে গোলটি অফসাইডে বাতিল করা হয় ।

ম্যাচের বাকি সময়ে আর গোল না হওয়ায় গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.