দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বাদানুবাদের একটি ভিডিও সম্প্রচারিত হচ্ছে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পার্শ্ববৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে সম্প্রতি যে কথাবার্তা হয়েছে, তা ‘ফাঁস’ হয়ে যাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করছেন জিনপিং। সম্মেলনে সাংবাদিকদের ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শি জিনপিং ও ট্রুডো দাঁড়ানো অবস্থায় দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট মান্দারিন ভাষায় ট্রুডোকে বলেন, ‘বৈঠকে আমাদের আলোচনার প্রতিটি বিষয় পত্রিকায় ফাঁস হয়েছে। এটা অনুচিত।’ তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘এটা ঠিক হয়নি। আমাদের মধ্যে নিশ্চয়ই এ রকম কথা হয়নি!’ চীনের প্রেসিডেন্টের এই কথার প্রেক্ষিতে ট্রুডোকে বলতে শোনা যায়, ‘কানাডায় আমরা বাক্স্বাধীনতা, মুক্ত আলোচনায় বিশ্বাস করি। আমরা এ ভাবেই চালিয়ে যাব। আমরা নিশ্চয়ই একসঙ্গে কাজ করব। কিন্তু কিছু বিষয়ে আমাদের মতানৈক্য থাকবেই।’
সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে চীনের কথিত গুপ্তচরবৃত্তি এবং কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কথা তোলেন বলে গণমাধ্যমকে জানান ট্রুডো। চীনের প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত ওই বিষয়ই ইঙ্গিত করেছেন। জি-২০ সম্মেলনে দুই নেতার মধ্যে ওই বৈঠক হয়েছিল রুদ্ধদ্বার। কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবার তারা বৈঠকে বসলেন।
২০১৮ সালে কানাডায় চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের নির্বাহী মেং ওয়ানঝোকে আটক এবং এ ঘটনার জেরে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই কানাডীয়কে বেইজিংয়ের গ্রেপ্তারের পর থেকে এই টানাপোড়েন শুরু হয়। পরে তিনজনকেই মুক্তি দেওয়া হয়।
কিন্তু সম্প্রতি হাইড্রো-কুইবেকের সরকারি ইউটিলিটি কর্মী ইউয়েশেং ওয়াংকে গ্রেপ্তারের পর ফের সম্পর্কের টানাপোড়েন সামনে আসে। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কানাডার পুলিশ বলেছে, ওয়াং চীনকে সুবিধা দিতে বাণিজ্য–সংক্রান্ত গোপনীয় তথ্য হস্তগত করেছেন, যা কানাডার অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপন্থী। ওই সময়ে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।