কি করবো আংকেল ?

কিশোরগঞ্জ যাব বলে সকালে বের হয়েছি। একটা সিএনজি দাড়িয়েছিল। মহাখালি যাওয়ার ভাড়া নিয়ে দামদর করতেই মধ্যবয়সী সিএনজি চালক বললো, আংকেল একটু শোনেন, তারপর আপনি বিবেচনা করে ভাড়া দিয়েন। প্রতিদিন গাড়ীর জমা ১১৫০ টাকা, রাস্তার খরচ ২০০ টাকা, গ্যাস খরচ ২৫০ টাকা, নিজের খাওয়া – (!) যেমন ধরেন – কাগজের মত পাতলা রুটি ১০ টাকা, মাছ দিয়ে ভাত খেলে ১০০ টাকা। কমপক্ষে ১৮০০ টাকা তোলার পর নিজের জন্য কিছু থাকবে। এর বাইরে আরো আছে, মাসে গ্যারেজ ভাড়া ১৫০০ টাকা, মিস্ত্রি খরচ ১৫০০ টাকা, মবিল খরচ ১৫০০ টাকা, আর যদি দুই একবার পুলিশের হাতে পড়ি তাহলে তো কথাই নেই।
জিজ্ঞেস করলাম, গাড়ীর জমা এত বেশি কেন? বললো, একটা গাড়ীর দাম কত জানেন? ১৪ মডেলের গাড়ীর দাম ২২ লাখ টাকা। বললাম, এই টাকায় তো কার বা মাইক্রোবাস কেনা যায়। সে হেসে বললো, এগুলো দিয়ে তো অলিগলিতে যাত্রী টানতে পারবেন না। আরো শোনেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার সরকারী ফি ১৭৫০ টাকা আর আমাদের লাগে ১০ হাজার টাকা। টাকা না দিলে ৫ বছরেও পাবেন না। এখন আবার ডোপ টেষ্ট করাতে হয়, তারজন্য খরচ ৯৫০ টাকা।
সেই সকালে বাড়ী থেকে বের হই খালি পেটে আর খালি পকেটে। কমপক্ষে ১০ টা ট্রিপ লাগে খরচের টাকা তুলতে। তারপর নিজের পরিবারের খরচের চিন্তা । তাই আপনাদের কাছে বাড়তি চাই, মিটারে চলতে পারি না। কি করবো আংকেল !
বাসদ নেতা , রাজেকুজ্জামান রতনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া ।