মামলাজট কমাতে এডিআর পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘ডিসকাশন অন মিটিং দ্যা নিডস অভ জাস্টিস সিকারস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে দেশের প্রচলিত আদালতগুলোতে তৈরি হয়েছে মামলাজট। এ মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়াতে হবে এবং দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে এ সেবা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে জনগণকে ব্যাপকভাবে সচেতন করতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে জাতিকে বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান উপহার দেন তাতে জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ বা ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার, ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকার সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সাংবিধানিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আইনমন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়াল আদালত প্রবর্তন বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাছাড়া লকডাউনের সময় অনলাইনে ২৪ ঘণ্টা সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছিল। লিগ্যাল এইড অফিসগুলোর হটলাইন খোলা রাখা হয়েছিল।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো.গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন পরিচালক ক্যাথরিন ডি.স্টিভেনস, ইউএসএআইডি প্রমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিসের চিফ অব পার্টি হেদার গোল্ডস্মিথ, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. শেখ গোলাম মাহবুব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালেল সহযোগিতায় ইউএসএআইডির প্রমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস (পিপিজে) অ্যাকটিভিটির উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ২০টি জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং লিগ্যাল এইডের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সভার মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রম আরও জোরদারকরণে নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত তুলে ধরেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading