বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর বিপক্ষের বিশ্ব মোড়লরা তাকে থ্রেড হিসেবে মনে করত।
রোববার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে না চিনলেও বঙ্গবন্ধুকে চিনত। বঙ্গবন্ধুর বিপক্ষের বিশ্ব মোড়লরা তাকে থ্রেড হিসেবে মনে করত।
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জানতেন তাকে হত্যা করা হবে, কিন্তু তিনি বিশ্বাস করতেন না। তিনি মনে করতেন, বাঙালিরা কখনও তাকে হত্যা করতে পারে না। তারপরও তার গড়া স্বাধীন দেশে তাকে হত্যা করা হলো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে নির্বংশ করার চেষ্টা করেছিল। তারা মনে করত বঙ্গবন্ধুর রক্তের কেউ বেঁচে থাকলে ফের দেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিয়ে যাবে। দেশে না থাকার কারণে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এখন বাবার আদর্শকে বহন করে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। তিনি তার বাবার মতো যা বলেন তা করেন। তাই তাকেও ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
ডা. দীপু মনি বলেন, নির্বাচন এলেই কিছু লোকজন আসে, তাদের জোট হয়, আবার জটও হয়। তারপর আবার তারা নির্বাচনে যায় না। এ দেশে নানা কিছু হয়। এ রকম খেলা আমরা বহু বছর ধরে দেখছি, এটা নতুন কিছু না। আজকেও নানা রকম লোক নানা জায়গা থেকে এসে জড়ো হয়েছেন। তাদের সবাইকে দেশের জনগণ চেনেন।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট ও সিনিয়র সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার।