গরুর চামড়া কিনতে কিছুটা আগ্রহ থাকলেও খাসির চামড়ার ক্ষেত্রে একেবারেই আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। ফলে ১০-১৫ টাকা পিসেও কোনো মৌসুমি ব্যবসায়ী খাসির চামড়া কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ক্ষেত্র বিশেষ বিনামূল্যে খাসির চামড়া দিলেও কেউ তা নিতে রাজি হচ্ছেন না।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির পর খাসির চামড়া নিয়ে বসে আছেন মানুষজন। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কম-বেশি দামে গরুর চামড়া কিনলেও খাসির চামড়ায় একদমই হাত দিচ্ছেন না। আবার কেউ সামান্য আগ্রহ দেখালে ১০০-১৫০ টাকার চামড়ার দাম ১০-১৫ টাকার বেশি দিতে রাজি হচ্ছেন না। অনেকে বিক্রি করতে না পারায় চামড়া নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা সাঈদুর রহমান এবার একটি গরু ও খাসি কোরবানি দিয়েছেন। কম দামে গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারলেও খাসির চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না।
সাইদুর রহমান বলেন, গরুর চামড়াটি কোনো রকমে ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু খাসির চামড়াটা বিনামূল্যে নিচ্ছে না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ভেবেছিলাম চামড়া দুইটি বিক্রি করতে পারলে টাকাগুলো গরিব মানুষদের দিয়ে দেব। কিন্তু এখন তো উল্টো বিপদে পড়েছি। এই খাসির চামড়ার এখন কী করব। কাউকে না দিতে পারলে তো কিছুক্ষণ পর পচে দুর্গন্ধ বের হবে।
রামপুরা এলাকার বাসিন্দা মো. হালিমও একটি গরু ও ছাগল কোরবানি দিয়েছিলাম। গরুর চামড়াটি ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে পারলেও খাসির চামড়া কেউ কিনছে না। পরে অনেক জোরাজুরি করে বিনামূল্যে খাসির চামড়াটি এক মৌসুমি ব্যবসায়ীকে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মৌসুমি চামড়ার ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূল চামড়ার ব্যবসায়ীরা তাদের খাসির চামড়া নিতে না করে দিয়েছে। আর কেউ নিয়ে গেলও তারা কিনছেন না। ফলে তারা এবার খাসির চামড়া কিনছেন না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, গরুর চামড়ার তুলনায় খাসির চামড়া অনেক ছোট। যেহেতু আমাদের ব্যবসাটি আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে, সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে খাসির চামড়ার কোনো চাহিদা না থাকায় আমরা খাসির চামড়া এবার কিনছি না। আর কিনলেও তা খুব অল্প পরিসরে। তাই খাসির চামড়া এবার বলতে গেলে কোন দামই উঠেনি।