দেশে ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন ভবনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ইসির সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল ইসির সংলাপে অংশ নেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, আব্দুস কুদ্দুস কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জল হক আজীজ, মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ জামী প্রমুখ।

অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে এতে ইসি কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতান, আনিছুর রহমান ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব হুমায়ন কবির খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, ২০১৮ সালের মতো নয়, আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংসদ নির্বাচন হবে সময় মতো। বর্তমান কমিশন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে এসেছে, ডিগবাজি নয়। নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন করতে চায় কমিশন।

ভবিষ্যতে নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দুর্নীতিতে জড়িত হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের সময় অনেকে অর্থ ও পেশী শক্তি ব্যবহার করেন। এসব নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এটার জন্য কমিশন একা কিছু করতে পারবে না, রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

এসময় লিখিত বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ একটি শতবর্ষী ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে বহুমাত্রিক কাজের পাশাপাশি সৎ, দক্ষ ও বিশ্ব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচনগুলোতে বরাবরই অংশগ্রহণ করে আসছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমরা অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী, তবে এর জন্য সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা দূর করে যথোপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে মনে করি।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার সংরক্ষণ করা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা, যেহেতু একটি কল্যাণকর আদর্শ রাষ্ট্র বিনির্মাণে এই ভোটাধিকারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া যেহেতু দুর্নীতির মূলোৎপাটন সম্ভব নয়, তাই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন অবাধ, অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও ত্রুটিমুক্ত নির্বাচনের আয়োজন করতে সাংবিধানিক ভাবেই দায়বদ্ধ।

মহাসচিব বলেন, সকল দলের সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী) নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনকে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করতে এবং সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে প্রতীক বরাদ্দ থেকে নির্বাচন পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রার্থী,সমর্থক ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নারী-পুরুষ ভোটার জনতার অধিকাংশই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট প্রদানে অভ্যন্ত নয়, বিধায় ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটেই ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সকল প্রার্থীর এজেন্টগণের উপস্থিতিতে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার আইন শতভাগ কার্যকর করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে। সুত্র, বার্তা ২৪

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading