সঙ্গীর সঙ্গে একছাদের নিচে থাকছেন। কিন্তু কোথায় যেন অপূর্ণতা থেকেই যাচ্ছে। উপলব্ধি করছেন কিন্তু কিছু বলতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত চাপা কষ্ট ভেতরে আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। বিরক্ত, হতাশা, নিরাপত্তাহীনতায় মানসিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এমন পরিস্থিতি সবার জন্যই বেদনাদায়ক। অনেক সম্পর্ক অনেক বন্ধুর অবস্থা অতিক্রম করে আরও মজবুত হয়। কিছু সম্পর্ক মধ্যে থেকেই ফাঁপা হয়ে যায়। সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে, সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে এমন কিছু টের পাবেন আগেই। এরজন্য কিছু সতর্কতা চিহ্ন খেয়াল করুন।

রোমান্স না থাকা

সম্পর্কে রোমান্স হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। যাকে ভালোবাসেন তার ভাবনাগুলোকেও ভালোবাসতে থাকেন। সবকিছু রোমান্টিক করার চেষ্টা করেন। যদি আপনার সঙ্গী শুধু যৌন সম্পর্কেই আটকে থাকেন আপনার সঙ্গে এবং তার মধ্যে কোনও রোমান্সকর অনুভূতি নেই তবে বুঝে নেবেন এর মধ্যে আর কোনও কিছু নেই। আপনার ভাললাগা, খারাপ লাগা নিয়ে তার বোধ না থাকলে রোম্যান্সও শেষ হয়ে যায়। সঙ্গীর আচরণ, অনুভূতি খেয়াল করুন। যদি কোনও আকর্ষণই অনুভব না করেন তবে বুঝে নেবেন সম্পর্কে চির ধরছে।

 

সামান্য বিষয়ে বিরক্ত হওয়া

সম্পর্কে ঝগড়া বিবাদ থাকবেই। কিন্তু সঙ্গী যদি সামান্য বিষয়েও বিরক্ত হোন তখনই ঝামেলা হয়। আপনি কথা বলতে বা সমাধান করতে চাইলেও সে চাচ্ছে না। বুঝে নেবেন আপনার প্রতি তার আগ্রহ কমে গেছে এবং শুরু নামেই সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন আপনারা।

প্রায়োরিটি পরিবর্তন

সঙ্গীকে সবসময় তালিকার শীর্ষে রাখেন। কিন্তু সঙ্গী আপনার সঙ্গে সময় কাটানোর কথা ভাবে না। বার বার আপনার ইচ্ছেগুলোকে উপেক্ষা করেন। বন্ধুদের বেশি প্রায়োরিটি দেন। আপনার সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর সময় হয় না। এমনকি আপনাকে সারাদিন ফোন বা এসএমএসও পাঠান না। বুঝবেন সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন।

 

আপনার কথা ভাবেন না

আপনার সঙ্গী কী আপনার মনের কথা জানতে চান? আপনার ভালো লাগাকে প্রাধান্য দেন? যদি তা না দেন তবে বুঝে নেবেন সঙ্গী ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছেন। একজন অন্যকে প্রাধান্য দেবেন, তার শখের কথা মনে রাখবেন এভাবেই সম্পর্ক সুন্দর হয়। যদি সঙ্গী তেমনটা না করেন বুঝবেন সম্পর্ক ম্লান হয়ে গেছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading