
পরিবারের সঙ্গে ঈদের সারাটা দিন কাটিয়েছেন। ছবি তুলেছেন, ঘুরতে গেছেন, আড্ডা দিয়েছেন, খাওয়াদাওয়া করেছেন। এক মাস বয়সী ছেলেকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। ভোররাত ৪টার পরই খারাপ লাগা শুরু হয়। এভাবেই পৃথিবী ভ্রমণের শেষ মুহূর্তটুকু কেটেছে ড্রামার রুমি রহমানের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫।
রোববার (১১ জুলাই) দিবাগত ভোররাত ৫টা ৪০ মিনিটে ধানমন্ডির বাসায় ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন রুমি। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন রুমি।
রুমির স্ত্রী বর্ষা চৌধুরী মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে কাঁদতে কাঁদতে গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমার ছেলেটা ছোট। ১ মাস ৪ দিন বয়স। ছোট্ট ছেলেটা বাবাহারা হয়ে গেল। আমার ছেলেটা আর কখনও তার বাবাকে দেখতে পারবে না।’
তিনি আরও জানান, ‘অ্যাজমায় ভুগলেও রুমি সুস্থই ছিল। ভোররাতে শরীর খারাপ হতে থাকে। নেবুলাইজ করতে চেয়েছিল। এরপর বলে, আমার খারাপ লাগছে, হাসপাতালে নাও। ড্রাইভার নেই, লিফট বন্ধ। লিফট চালু করা পর্যন্ত কাজের মেয়ে তাকে ধরে রেখেছিল। এর মধ্যে সে আমার শাশুড়ির রুমে পড়ে যায়। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। এরপর বাসার সবাই মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার বলে, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সে মারা গেছে।’
প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রুমি রহমান। লেজেন্ড, ট্রাপ, অর্থহীন, আর্ক, দলছুট, অরণ্য, সিম্পোনিয়াম ব্যান্ডের ড্রামার হিসেবে বিভিন্ন সময় বাজিয়েছেন। এ ছাড়া অনেক শিল্পীর সঙ্গে এককভাবেও বাজিয়েছেন। তার মৃত্যুর খবরে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।