
ডিপ্লোমা ও ব্যাচেলর ডেন্টিস্টদের বিরুদ্ধে ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়া ও নিউ মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটানোর অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ডেন্টাল হেলথ সোসাইটি।
শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ ডেন্টাল হেলথ সোসাইটির দফতর সম্পাদক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংগঠনটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সভাপতি মহোদয়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ৩ ও ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ডেন্টাল টেকনোলজি উত্তীর্ণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব ডেন্টিস্ট্রি ডিগ্রিধারী, ডিপ্লোমা ও ব্যাচেলর ডেন্টাল হেলথ টেকনোলজিস্টদের পেশাজীবী জাতীয় সংগঠন। উপরোক্ত সংগঠনের সদস্যগন পেশাদারিত্বের সাথে মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে সুনামের সাথে সাধারণ মানুষকে দন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। প্রায় ১৮ কোটির অধিক জনসংখ্যা এদেশে বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ডেন্টাল সার্জনের সংখ্যা মাত্র ১১ হাজার, যা জনসংখ্যার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ চলমান অবস্থায় আমাদের সদস্যগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে, যা প্রশংসার দাবিদার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করছি একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী আমাদের সম্মানিত সদস্য ডিল্পোমা ও ব্যাচেলর ডেন্টিস্টদের ফেসবুক, প্রেস প্রিন্টিং ও মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটাচ্ছে, যা মানহানির শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি তাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান করছি।
বাংলাদেশ ডেন্টাল হেলথ্ সোসাইটির কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আবদুর রহিম বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার ডিপ্লোমা এবং ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী ডেন্টিস্ট ও ডিপ্লোমা ডেন্টিস্ট রয়েছে। আমরা রাষ্ট্রীয় শিক্ষা কাঠামোর মধ্যে দিয়ে এ পেশায় এসেছি৷ একটি পেশার বিরুদ্ধ যারা এভাবে কুৎসা রটাচ্ছেন, আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।