
২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকে অভিষেক হয়েছিল সাকিব আল হাসানের। সেই থেকে গত ১৫ বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি ম্যাচসহ মোট ৬২ টেস্ট খেলা হলো দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের।
৬২ টেস্টের ১১৪ ইনিংসে ব্যাট করে ৪২২৬ রান করেছেন সাকিব। যেখানে ৫টি শতকের সঙ্গে রয়েছে ২৯টি ফিফটি। যেখানে সর্বশেষ তিন ফিফটি এসেছে শেষ তিন ইনিংসে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ফিফটির পর উইন্ডিজের অ্যান্টিগা টেস্টের টানা দুই ইনিংসে ফিফটি পেলেন সাকিব।
১৫ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টেস্টের টানা তিন ইনিংসে ফিফটি পেলেন সাকিব। এর আগে অবশ্য পাঁচ বার টানা দুই ইনিংসে ফিফটি পেলেও সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটেছে বারবার। প্রথমবার টানা দুই ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন ২০১০ সালে অধিনায়ক থাকাকালীন অবস্থায়।
নিউজিল্যান্ডের হ্যামিলটনে একই টেস্টের দুই ইনিংসে করেছিলেন ৮৭ ও ১০০ রান। পরবর্তীতে ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একই টেস্টে মিরপুরে ৭৩ ও ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। পরের ইনিংসে ৮ রানে আউট হয়ে ফিফটির ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে।
তবে পরের দুই ইনিংসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫১ ও ১৪৪ রান দেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। এরপরের ইনিংসে আবার ৬ রানে আউট হয়ে পরের ইনিংসে আরেকটি ফিফটি ছুঁয়ে করেছিলেন ৮৯ রান।
এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮১ ও ৫৯ এবং ২০১৫ সালে খুলনাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি অপরাজিত অর্ধশতক হাঁকিয়ে করেছিলে ৭৬ ও ৮৯ রান। এরপর এবার টানা তিন ইনিংসে করলেন ফিফটির হ্যাটট্রিক।
বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে একই টেস্টের দুই ইনিংসে ফিফটি করার দ্বিতীয় কীর্তি গড়লেন সাকিব। দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের আগে অধিনায়ক হিসেবে হাবিবুল বাশারও এক টেস্টের দুই ইনিংসে ফিফটি পেয়েছেন দুইবার। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ে ও ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এছাড়া মুশফিকুর রহিম এমন কীর্তি গড়েছিলেন একবার।
এছাড়াও অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ১০০০ ও ৫০ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন টাইগার ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়। টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছরের ইতিহাসে ১০ম ক্রিকেটার হিসেবে এমন কীর্তিময় তালিকায় জায়গা করে নিলেন সাকিব।