
বান্দরবানের থানচি উপজেলার পাহাড়ে দুর্গম ৫টি পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে গত কয়েকদিনে ডায়রিয়ায় শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ জন ছাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিরা জানায়, জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের দুর্গম পাঁচটি পাড়ায় প্রচণ্ড গরমে বিশুদ্ধ পানির সংকট, পাহাড়ি ঝিরি ঝর্নার দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। পাড়াগুলো হচ্ছে- রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ ও- ৯ নং ওয়ার্ডের ইয়াংরে পাড়া, ইয়াংবং পাড়া, ঙাঁরেসা পাড়া, ম্রংগং পাড়া এবং সিং চং পাড়া।
গত কয়েকদিনে নিহতরা হলেন- রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দার মেনথাং পাড়ার কার্বারী মেনথাং ম্রো (৪৯), নারিচা পাড়ার বাসিন্দা লংঞী ম্রো (৪৫), ইয়াংবং পাড়ার বাসিন্দা ক্রাইয়ং ম্রো (৬০) এবং সিংচং পাড়ার বাসিন্দার প্রেন ময় ম্রো (১১)। অপরদিকে দুর্গম পাঁচটি পাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ জন ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে দুর্গম পাড়াগুলোতে খাবার স্যালাইন এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈ থুই মারমা জানান, বর্ষায় শুরুতেই প্রচণ্ড গরমে এবং বৃষ্টির কারণে ঝিরি-ঝর্ণা-খালের দুষিত পানি ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে কয়েকটি পাড়াতে। এই পর্যন্ত পাঁচটি পাড়ায় ৪ জন মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি।
তবে বান্দরবানের সিভিল সার্জন নিহার রঞ্জন নন্দি জানান, স্থানীয়ভাবে চারজনের কথা শোনা গেলেও গত ৩-৪ দিনে ডায়রিয়ায় ২ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি আমরা। আক্রান্তের সংখ্যা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে ৬০ জন। তার মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়েছে ৩১ জন। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। আক্রান্ত পাড়াগুলোতে খাবার স্যালাইন এবং ওষুধপত্র পাঠানো হয়েছে।