পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, শুধু সংলাপই নয়; দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগামী জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করবে বাংলাদেশ।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের একথা জানান।

সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন বিষয়ক আর্থিক সহায়তা সংস্থার (ডিএফসি) অর্থায়ন ছাড়া বাংলাদেশের অসুবিধা হচ্ছে না।

মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, আগামী জুনে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের ইকোনোমিক ডায়ালগে শ্রম অধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। অবস্থান তুলে ধরবে ঢাকা। শ্রম অধিকার ইস্যুতে মার্কিনিদের উদ্বেগ নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করছে।

বাংলাদেশের শ্রম মান উন্নত না হলে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন বিষয়ক আর্থিক সহায়তা সংস্থার (ডিএফসি) তহবিল থেকে অর্থ পাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএফসি তহবিল থেকে অর্থ না পেলেও বাংলাদেশের অসুবিধা হচ্ছে না। আগামী জুনে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সংলাপে শ্রম অধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। সেখানে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।

তিনি বলেন, বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের মধ্যে অমীমাংসিত চ্যালেঞ্জ গুলোর পর্যালোচনা করার জন্য একটি মেকানিজম কারার প্রস্তাব দিয়েছে। আমি নীতিগতভাবে কোনো সমস্যা দেখি না। শুধুমাত্র সংলাপ করে গেলাম কিন্তু এর ফলাফল কী আসছে সেটিও সময় সময় দেখা দরকার।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ ধরনের মেকানিজম অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের আছে। জাপানের সঙ্গে আছে, ভারতের সঙ্গে আছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে লাইন অব ক্রেডিট নিয়ে ভারত নিয়মিত বৈঠক করে থাকে। সবকিছু ঠিক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামী জুলাই থেকে এটি চালু হবে।

এদিকে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ককে আলোচনার মাধ্যমে কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading