ত্বক কিংবা চুলের সমস্যা হোক অথবা পেটের গন্ডগোল, সব কিছুর জন্যেই লিভারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। জীবনযাত্রায় ব্যাপক অনিয়মের কারণে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে ইদানীং। আসলে ভুঁড়ি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারের চারপাশে চর্বি জমার ঝুঁকি বাড়ে, তাই লিভারের কর্মদক্ষতা অনেকটাই কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লিভারে সামান্য ফ্যাট জমলে তা বিশেষ চিন্তার নয়। কিন্তু যদি লিভারের ওজনের পাঁচ থেকে দশ শতাংশ ফ্যাট জমে যায়, তা হলে তা লিভার সিরোসিস বা ফ্যাটি লিভারের আকার নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার প্রথমিক লক্ষণ দেখা দিতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে পেটের উপরের ও মাঝের দিকে যন্ত্রণা, বমি ভাব, ক্লান্তিু, খিদে কমে আসা, মনঃসংযোগের অভাব— ইত্যাদি উপসর্গ শরীরে দেখা যায়। ইদানীং অল্পবয়সিদের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

রসালো ও সুস্বাদু ফল তেঁতুল দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের রান্নায় খুব বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা হয়। শরীর থেকে মেদ ঝরাতে তেঁতুল দারুণ উপকারী। তেঁতুলের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় খনিজ, ভিটামিন ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। তেঁতুলের ক্বাত্থ পলিস্যাকারাইড বা ডায়েটারি ফাইবার যেমন হেমিসেলুলোজ, পেকটিন, মিউকাস ও ট্যানিনের উৎস। ১০০ গ্রাম তেঁতুলের ক্বাত্থে ৫১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এই ফাইবার খাবারের টক্সিন শরীরে পৌঁছতে দেয় না। লিভারকে টক্সিনের হাত থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিনে ভরপুর তেঁতুল। এই সব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তেঁতুল রাখতেই পারেন। রান্নায় বেশি করে তেঁতুল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বাঙালি রান্নায় তেঁতুলের প্রয়োগ কম। সে ক্ষেত্রে তেঁতুলের শরবত নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

কী ভাবে বানাবেন তেঁতুলের শরবত?

বেশ খানিকটা তেঁতুল জলে ভিজিয়ে রাখুন। তেঁতুল নরম হয়ে গেলে ক্বাত্থ বের করে নিন। এ বার একটি গ্লাসে দু’চামচ তেঁতুলের ক্বাত্থ, ভাজা জিরে শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, বিটনুন, গেলমরিচের গুঁড়ো আর এক চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে নিন। বরফ আর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন তেঁতুলের শরবত। সুত্র, আনন্দবাজার পত্রিকা ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading