
ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জাতীয় সরকারের রূপরেখাকে আলোচনার বিষয়ই মনে করছে না বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, স্বাধীন ব্যক্তি হিসেবে যে কারো মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। আর জাতীয় সরকার কেমন হবে সেটি বিএনপি আগেই পরিষ্কার করেছে।
ক্ষমতাসীনদের হটিয়ে নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়ে এমনিতেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এর মধ্যেই গণমাধ্যমে জাতীয় সরকারের একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ’এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করে সময় নষ্ট করতে চাই না। এটাই বলতে চাই। এটা উনি বলতেই পারেন আরও অনেকেই অনেক কিছুই বলতে পারেন। যেটা আমার আলোচনায় আসার যোগ্য নয় সেটা নিয়ে আলোচনা কেনো করব।’
বিএনপিও সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার চায়। সেটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের পর। তাই জাফরুল্লাহ চৌধুরী যেভাবে এবং যাদেরকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন সেটি গ্রহণযোগ্য নয় বলছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সরকার যদি আমরা আগেই করে ফেলি, আরও যদি সেটা দুই বছর থাকে। দুই বছর পর আবার এরা কোন দিকে যায় তার তো কোনো ঠিক নেই। উনি একজন স্বাধীন মানুষ, দেশের ভালো চিন্তা করে, দেশের ভালোর জন্য জাতীয় সরকারের রূপরেখা বা একটা সরকারই গঠন করে ফেলছেন। এখন এটার সঙ্গে বড় কোনো দলের সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে তো আমি জানতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো মত দিমত নেই।’
কখন কিভাবে আর কাদের নিয়ে জাতীয় সরকার হবে সেটি বিএনপি পরিষ্কার করেছে বলে জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তার কথায়, ‘জাতীয় সরকার তো নির্বাচনের পরে। আমরা তো রূপরেখা দিয়েই ফেলেছি। এটাতো পরিস্কার যে যারা এই গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিবে, জনগণের পক্ষে নিবে, আন্দোলন সংগ্রামী, সরকার পতনে অংশ নিবে, তাদের সকলকে নিয়ে একটি সরকার গঠন করা হবে। এবং সেই সরকার জাতিকে আজকের এই গর্ত থেকে তুলে আনার জন্য যে সংস্কার, যে পরিবর্তন আনা দরকার সেটা আমরা বলে দেব।’