রমজান মাসে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় আন্দোলনে যাচ্ছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। যতদিন তাদের দাবি না মানা হবে, ততোদিন গরু-ছাগলের মাংস বিক্রি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) থেকে মাংস বন্ধ রেখে আন্দোলন করবেন বলে এমনটি ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টার দিকে এক জরুরি বৈঠকে সিলেট মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিটি করপোরেশন মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রেতারা তা মানেনি। তারা ইচ্ছে মাফিক ৬০০ টাকার স্থলে ৬৫০ এমনকি ৬৮০ টাকা দরেও গরুর মাংস বিক্রি করতে থাকে। অনুরূপ খাসির মাংসের ক্ষেত্রেও বাড়তি দাম নিতে থাকে। এ খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নেমে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায় এবং বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। এরপর থেকে মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নামে তারা এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মহানগরী এলাকায় গরুর গোশত ৬০০ ও ছাগলের গোশত ৮৫০ টাকা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা যে দামে গুরু বা ছাগল ক্রয় করি সে অনুযায়ী সিসিক নির্ধারিত দামে গোশত বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হয়। আমরা গত এক মাস থেকে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসলেও সর্বশেষ সিসিক কর্তৃক ধার্যকৃত দাম ওই ৬০০ ও ৮৫০ টাকাই রেখে দেওয়া হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) থেকে গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি বন্ধ করে দিচ্ছি। আমরা লোকসান দিয়ে তো ব্যবসা করতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, সিলেটের বাইরে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানে এ দামের চাইতে বেশি টাকায় গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি করা হয়। আমরা গরু-ছাগল ক্রয় করি সিলেটের বাইরে থেকে। তাই পশুর দাম পড়ে বেশি। আমরা সারাদেশে এক দাম নির্ধারিত করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সিলেটে গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি বন্ধ থাকবে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading