ক্যাবরাল এক টুইট বার্তায় জানান, পদত্যাগ পত্র এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন কি না সে ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ক্যাবরাল হচ্ছেন শ্রীলঙ্কার একজন অন্যতম নীতিনির্ধারক। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতেও কাজ করেন তিনি।
এর আগে দেশটির সব মন্ত্রীরা পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম শ্রীলঙ্কা এতো ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ছাড়া মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্য তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নিজের ছেলে নামাল রাজাপাকসে। এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেন, দেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সিদ্ধান্ত নিতে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করবে এ পদক্ষেপ।
১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সরকার। চলছে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভের শঙ্কায় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া কারফিউ চলবে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত