পঞ্চম উইকেটে ব্যাট করতে নামা রায়ান রিকেলটন যখন একপ্রান্ত সামলাতে ব্যস্ত তখন অপরপ্রান্তে থাকা দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। সাদমানের হাতে ক্যাচ তুলে ৬ রানে বিদায় নেন কাইল ভেরেইনা।
এরপর দারুণ ক্যাচে বাভুমাকে ফেরানো ইয়াসিরের হাতে বল তুলে দিয়ে ১১ রানে বিদায় নেন ভিয়ান মুল্ডার। এরপর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি ব্যাট করতে নামা কেশভ মহারাজও। তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৫ রানে বিদায় নেন তিনি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকার সংগ্রহ ১৮৩ রান।
চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় দিনে অপরাজিত থাকা দুই ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল এরউইয়ের ব্যাটে স্বাগতিকদের লিড শতরান ছাড়িয়েছে। এরইউকে ফিরিয়ে ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন এবাদত। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশ এলবিডব্লিউর আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে রিভিউ নেয়ার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয় আম্পায়ারকে। ৮ রানে সাঝঘরে ফেরেন এরউই।
সারেল এরউই ফিরে যাওয়ার পর এলগারকে সঙ্গ দেন কিগান পিটারসেন। একপ্রান্তে থেকে থিতু হয়ে ৭৩ বলে ৬ চারে অর্ধশতক তুলে নেন এলগার। এ দুই ব্যাটারের জুটিতে প্রথম সেশনে ১০৫ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই উইকেটের দেখা পেলেন তাসকিন। দুইবার জিবন পাওয়া এলগারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১০২ বলে ৬৪ রান করে বিদায় নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
এলগারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি কিগান পিটারসেনও। দীর্ঘ সময় ধরে উইকেট নেওয়ার চেষ্টায় থাকা মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩তম ওভারে এসে তাকে ফেরালেন। জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে ৮৫ বলে ৩৬ রানে বিদায় নেন প্রোটিয়া ব্যাটার। পরের ওভারেই টেম্বা বাভুমাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান এবাদত। ইয়াসিরের দারুণ ক্যাচে মাত্র ৪ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাভুমা।
এর আগে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে মাহমুদুল হাসান জয়ের রেকর্ড গড়া ইনিংসে ২৯৮ রানে থামে বাংলাদেশ। ৬৯ রানের লিড নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করলেও বৃষ্টির কারণে খেলা স্থগিত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলেও আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা ১৭ ওভার বাকি থাকতেই সমাপ্তি টেনে দেন আম্পায়াররা। বৃষ্টি নামার আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩৬৭ রানের জবাবে ওপেন করতে নেমে একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের ফলাফল পেয়েছেন হাতেনাতেই। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, যা আবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই টেস্টে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটারের প্রথম। আর তাতে ভর করে তিনশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় টাইগাররা।