
টিয়ার সেল নিক্ষেপ এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ঢাকা কলেজ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মঈনুল হোসেন বলেছেন, এটি আসলে পুলিশের বাড়াবাড়ি ছিল। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছে। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বুধবার (২০ এপ্রিল) শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন কলেজের অধ্যক্ষ মঈনুল হোসেন।
অধ্যক্ষ মঈনুল হোসেন বলেন, হল বন্ধের সিদ্ধান্তটি একান্তই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এটিতে আমাদের কোনো হাত নেই। যার কারণে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব তারা যাতে হাল ছেড়ে দেয়। স্বাভাবিক নিয়মেই ছুটি শেষে যাতে সবাই ফিরে আসে।
তিনি বলেন, আমাদের একজন শিক্ষার্থী গুরুতর অবস্থায় স্কয়ার হসপিটালে ভর্তি আছে। তার দেখভাল করছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজেই। আরো দুই জন শিক্ষার্থী গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি আছে। তাদের অবস্থার উন্নতির দিকে আছে। আমরা সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর রাখছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপের বিষয়টি তদন্ত হবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি মন্ত্রণালয়ের বিষয়। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত সাপেক্ষে যে সিদ্ধান্ত আমাদেরকে জানাবে আমরা সেটি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ক্লাস করুক। ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের যাতে বার বার সংঘর্ষ না হয় সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা নিয়ে এ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে আমাদের। আশা করছি আমরা একটি সমাধানের পথে যেতে পারবো।
অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন বলেন, আমরা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারি না। আমরা শিক্ষকের পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সে সিদ্ধান্তে একমত। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত।
এর আগে, দুপুরের দিকে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যক্ষ। বৈঠকের আগে তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আমাদের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমাদের তিন জন শিক্ষার্থী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল। তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মোশাররফের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা তার সঙ্গে গতকাল কথা বলেছি, তার অবস্থা উন্নতির দিকে। আর দুই জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। একজনের অবস্থা একটু ক্রিটিক্যাল। সেও উন্নতির দিকে আছে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আজ থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাভাবিক ছুটি শুরু হয়েছে। তোমরা বাড়ি ফিরে যাও। রমজানের ঈদের ছুটি শেষে সবাই ক্লাসে ফিরে আসবে। সুন্দর পরিবেশের সবার সঙ্গে আবার ক্লাসে দেখা হবে আশা করছি।