
অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের বিদায়ের পর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য আজ দেশটির জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে অধিবেশন বসে।ভোটাভুটির পর আজই নির্ধারিত হবে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী।
এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই মুসলিম লিগের প্রধান শাহবাজ শরিফ।
অধিবেশন পরিচালনা করছেন ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরি। তিনিই ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করেছিলেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট তার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে অনাস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেয়।
ধারণা করা হচ্ছে, শাহবাজই হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তিনি পাঞ্জাবের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী।সবকিছু ঠিক থাকলে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করবেন ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত।
এদিকে ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার দল পিটিআই’-এর সমর্থকরা।
এক টুইট বার্তায় ইমরান খান বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়। কিন্তু শাসন পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আজ আবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব নাকচ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপরই ইমরান খানের পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপর বিষয়টি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে যায়। টানা ৫ দিন শুনানির পর বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) আদালত অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের আদেশ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং শনিবার (৯ এপ্রিল) সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন। ভোটে ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা ভোট দেন। এর মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হলো। একইসঙ্গে পাকিস্তানের নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও এখন পর্যন্ত মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না।
সূত্র : জিও নিউজ