
১০০ থেকে ২ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। লিজাড উইলিয়ামসের করা ৪৯.৪ ওভারে বাংলাদেশ ১০০ রান পূর্ণ করে। তাও বিশাল নো বল থেকে। এর ১ ওভার পরেই এই উইলিয়ামসের বলে সাজঘরে ফেরেন নাইটওয়াচম্যান তাসকিন আহমেদ। ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। গতকাল শেষ বিকেলে মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারালে তাসকিনকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ৬ বল খেলে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে তিনি দিন শেষ করে আসেন কোনো বিপদ ছাড়াই। আজ অবশ্য বেশিদূর যেতে পারলেন না। ক্রিজে এখন জয়ের সঙ্গী লিটন দাস।
দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রথম ইনিংস: ৩৬৭/১০ (১২১ ওভার)
বাংলাদেশ, প্রথম ইনিংস: ১১১/৫ (৫৩ ওভার)
ডারবান টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু, টিকে থাকাই বাংলাদেশের লক্ষ্য
ডারবান টেস্টের তৃতীয় দিনে শনিবার (২ এপ্রিল) মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশ। ৯৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করেছে বাংলাদেশ। হাতে আছে ৬ উইকেট। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে এখনো পিছিয়ে আছে ২৬৯ রানে। শেষ বিকেলে সিমন হার্মারের ঘূর্ণিতে এলোমেলো বাংলাদেশের ভরসা হয়ে আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৪৪ রানে তিনি দিন শুরু করেন। তার সঙ্গে আছেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের সামনে এখন লক্ষ্য একটাই, ক্রিজে টিকে থাকা।
মিরাজ বলছেন এখনো ফল অনুমান করা সম্ভব না
দ্বিতীয় দিন শেষ মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে সবসময় সুযোগ থাকে। ওরা ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরাও ভালো জায়গায় বল করেছি। সবসময় সুযোগ থাকে টেস্ট ক্রিকেটে। যে কেউ-ই ভালো রান করতে পারে। নয় নম্বরে ব্যাটসম্যানেরও অনেক রান করার রেকর্ড আছে। ৫০ মেরেছে। ১০০ রানের জুটি গড়েছে। তারপরও আমাদের বোলাররাও ভালো করেছে।’
‘এখনো অনেক বাকি আছে। এখনোই ফল অনুমান করা সম্ভব না। টেস্টে এমন হয়ই। যারা বেশি ভালো খেলবে তারাই জিতবে। এখনো আমাদের অনেক সুযোগ আছে। জয় আছে, লিটন আছে, রাব্বি আছে, আমি আছি। যত দূরে যেতে পারি, চেষ্টা করব। যত দূরে যাব ততো ভালো হবে। ওদের জন্যও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা কঠিন হবে। প্রথম ইনিংসে যতো দূরে যেতে পারি, সেটাই ভালো হবে’-আরও যোগ করেন।
দ্বিতীয় দিন শেষে এলোমেলো বাংলাদেশ
দ্বিতীয় দিন শেষ বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ২৬৯ রানে।
এক হার্মার একাই নিয়েছেন সবকটি উইকেট। দ্বিতীয় দিন শেষে এলোমেলো বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ভুগিয়েছিলেন হার্মার। বল হাতে একাই ধস নামিয়ে দিলেন। সাদমান ইসলামকে দিয়ে শুরু মুশফিকুর রহিমকে দিয়ে শেষ। এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। তিনি ৪৪ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গে তাসকিন আছেন ০ রানে।
শুরুতে সাদমান ফেরার পর জয়-শান্ত হাল ধরেন। দুজনের পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়ে প্রতিরোধের আভাস দেন। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে শান্ত আউট হতেই যেনো ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। মুমিনুল হক এসে রানআউট থেকে রক্ষা পেলেও শূন্য রানে ফিরতে হয় পিটারসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে। মুশফিকুর রহিমও রিভিউ নিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন, কিন্তু কাজে লাগে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার নেওয়া রিভিউতেই সেই আউট হতে হয়। সবগুলো উইকেটের ঘাতক একজনই। সিমন হার্মার। ২০ ওভারে মাত্র ৪২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।