
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আজাদের মৃত্যু হামলায় পাওয়া আঘাতেই হয়েছে বলে দাবি রাষ্ট্রপক্ষের। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু একথা বলেন।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) এই মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেএমবির সূরা সদস্য আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন, মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাওন ও নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু।
আব্দুল্লাহ আবু বলেন, হুমায়ুন আজাদকে যে আঘাত করা হয়েছিল, সেই আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। সেটা এক বছর পরে হলেও ৩০২ ধারাতেই শাস্তি দেওয়া যথাযথ হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৫৮ জন সাক্ষী ছিলেন যার মধ্যে ৪১ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে সন্তুষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় যে চারজন আসামি ছিল তাদের সবাইকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে আমরা খুশি। রায় দ্রুত কার্যকর হোক সেটা আমরা চাই।
হামলার উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করা উল্লেখ করে আব্দুল্লাহ আবু বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি জেএমবির সদস্য। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা এক যোগে সারাদেশে বোমা হামলা করেছে। হামলায় আমাদের আইনজীবী, বিচারকসহ অনেকেই মারা যান। তারা পরিকল্পিতভাবেই হুমায়ুন আজাদকে আঘাত করেছে এবং সেই আঘাতের ফলেই পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।