দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন পেস বোলার তাসকিন আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকার অপরিচিত কন্ডিশনে বাউন্সি উইকেটে একজন বাংলাদেশি ফাস্ট বোলার হিসেবে অনন্য অবদান রাখেন তাসকিন। এক এক করে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন তিনি। পঞ্চম উইকেট রাবাদাকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাঁধভাঙা উল্লাস করে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন তাসকিন। অনেক্ষণ সিজদারত অবস্থায় ছিলেন তিনি।

বুধবার ‘অঘোষিত ফাইনালে’ ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচ করে ৫ উইকেট শিকার করেন তাসকিন। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ের কারণেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।

তাসকিনের গতির মুখে পড়ে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ৩৭ ওভারে ১৫৪ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর মাধ্যমে দীর্ঘ আট বছর পর নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তাসকিন দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচে ৫টি উইকেট পেয়েছেন।

পরে নিজের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে ডানহাতি পেসার বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র নিজের প্রক্রিয়ায় স্থির থেকেছি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। উইকেট থেকে বাউন্স পেয়েছি। এজন্য নিজের লাইন ও লেন্থ ঠিক রেখেছি। নিজের প্রক্রিয়ায় এখন আমার অনেক বিশ্বাস। শেষ এক, দেড় কিংবা দুই বছর এভাবেই পরিশ্রম করে আসছি। এটাই আমার সাফল্যের রহস্য।’

উল্লেখ্য, তাসকিন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ২০১৪ সালের জুন মাসে। সে বছর ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। আর অভিষেক ম্যাচেই ৫টি উইকেট তুলে নিয়ে চমক দেখান তিনি।

কিন্তু এর মাঝে আরও ৪৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেললেও একটিতে ৫ উইকেটের দেখা পাননি।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading