
রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩৫ শিশু নিহত এবং ১৮৪ শিশু আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস।
সাম্প্রতিক হতাহতের বিষয়ে আপডেট প্রদান করে কর্মকর্তারা বলছেন, লুহানস্ক অঞ্চলের রুবিঝন শহরে ভয়াবহ লড়াইয়ের সময় দুই শিশু নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বোমা হামলায় দোনেৎস্ক অঞ্চলের নভোমিখাইলিভকাতে ছয় এবং ১৩ বছর বয়সী দুই শিশু আহত হয়েছে।
প্রসিকিউটর অফিস আরও জানায়, ১৩, ১৪ ও ১৫ বছর বয়সী তিন কিশোর জাপোরিজিয়া অঞ্চলের ওবিলনে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছে। তাদের মেলিটোপোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছে।
বিবিসি নিরপেক্ষভাবে এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৫ হাজার ৮০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনের এক হাজার ৩৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি