
রাশিয়া – ইউক্রেনকনফ্লিক্ট বৈঠক , এটা সম্পূর্ণ পুতিনের ইচ্ছা অনুযাই একটি বৈঠক। সর্বোপরি, রাশিয়াকে বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য ক্রেমলিন বস মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর সাথে চোখ মিলিয়ে একই টেবিলে বসে এর প্রতিকারের উদ্দেশে আলোচনা করছেন। এবং পুতিন বারবার প্রমাণ করেছেন যে তিনি আর ইই-উকে গুরুত্বের সাথে নেন না। উক্রাইন – রাশিয়া কনফ্লিক্ট কে নিয়ে নিজেদের মধ্যে এই বিশ্বের ক্ষমতাবানরা, আর ইইউ (কেউ) পাশের টেবিলে? আপাতদৃষ্টিতে, রাশিয়া ইউক্রেনকে “শুধু” অস্থিতিশীল করতে চায় না, সেই সাথে ইউরোপের বিশাল অংশে তার প্রভাব বিস্তার করতে চায়। নিষেধাজ্ঞা প্রদানের সামান্য হুমকি এখন আর যথেষ্ট নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই রাশিয়ার শক্তি নির্ভরতা থেকে মুক্ত করতে হবে। একটি বিশ্বাসযোগ্য সংকেত হিসাবে এটি ব্যয়বহুল হলেও প্রয়োজনীয়।জার্মানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সঠিক পথ বেছে নিয়েছেন। প্রথমে কিয়েভ, তারপর মস্কো। তবে, বিদ্রোহের শিকার যারা, তাদের স্মৃতির জন্য তার কেবল লাল গোলাপ দেয়ায় তার কাজ হওয়া উচিত না, এটি কাজের মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার সময়। কেবলমাত্র প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্রের জন্য ইউক্রেনীয়দের অনুরোধ মুছে ফেলা নয়। যদি জার্মানি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দিদের শত শত অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সরবরাহ করে, এটা জেনেও যে সেগুলি শিগগিরই ব্যবহার করা হবে, তাহলে ইউক্রেনে এই ধরনের অস্ত্র সরবরাহ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত নয়। এই অস্ত্র তাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। মস্কো জেনেভা, ব্রাসেলস এবং ভিয়েনায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে “ব্যর্থ” ঘোষণা করেছে এবং এমনকি পরবর্তী আলোচনার জন্য সময়সূচী নির্ধারণ করতেও সক্ষম হয়নি, যা ইউক্রেন সীমান্তে বর্তমান সেনা মোতায়েনের পিছনে একটি কৌশল নির্দেশ করে। ক্রেমলিন পূর্ণাঙ্গভাবে ন্যাটো-মুক্ত অঞ্চল হিসাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সমস্ত এলাকা দাবি করছে। পশ্চিমা জোট এমনকি তিনটি বাল্টিক সদস্য রাষ্ট্র থেকে তাদের সামরিক সুরক্ষা প্রত্যাহার করার কথাও বলছেন।
মাহবুবুল হক , শুদ্ধস্বর ডটকমের বিশেষ প্রতিনিধি ।