মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়ে হাঁটু গেড়ে মাথা নত করে চলে গেছে পাকিস্তানি বাহিনী। কিন্তু তাদের প্রেতাত্মারা এখনো দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক রণাঙ্গন ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মুক্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একই ডিজাইনের কবর নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে করে ভবিষ্যত প্রজন্ম কবর দেখেই চিনতে পারে এটা বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। সেই সাথে সারা দেশের গণকবরগুলো সংরক্ষণ অব্যাহত আছে। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য আর্কাইভের মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আজকে একশ্রেণির মানুষ মানবতার কথা বলে। কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে হাজার হাজার লাশ দেখেও তাদের মানবতার চোখ খুলে নাই। তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের যৌথ উদ্যোগে ধানুয়া কামালপুর মুক্তমঞ্চে আয়োজিত কামালপুর মুক্তদিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ধানুয়া কামালপুর মুক্তদিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব ড. গাজী সাইফুজ্জামান, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের নির্বাহী সভাপতি সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আব্দুস সামাদ, বকশীগঞ্জের ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা প্রমুখ।