
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের পদার্পনকে যথার্থ অর্থে মনে- প্রানে ধারন করে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে আজ জনগন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এ বলেঃ
“আর বিভক্তির রাজনীতি নয়। নেতিবাচকতার অবসান ঘটিয়ে আজ থেকে শুরু হোক ইতিবাচক পথে হাটা।সকল না হলেও অনেক দুঃখ- বেদনাা, প্রকাশ্য- অপ্রকাশ্য ক্ষোভ, নীতি ও আদর্শের মধ্যেও দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মৌলিক জাতীয় বিষয়াবলী নিয়ে সমঝোতা রচনা করতেই হবে। সমঝোতা হতে হবে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় সমহুের উপর। আর গোজামিল নয়, এবার পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন হওয়ার সময়।”
সামগ্রিক ইতিবাচক চিন্তাই সময়ের সর্বোচ্চ দাবি।সামগ্রিক ইতিবাচক চিন্তা মানেই তো ইতিহাসকে সত্যের উপর দাড় করানো। অথচ আমাদের কোন দলই নিজ নিজ দলীয় বলয়ের বাইরে এসে নির্মোহ ইতিহাসের মুখোমুখি হতে রাজি নয়। এটাই সকল সংকটের মুল কারন। আর এ জাতীয় অনভিপ্রেত ইতিহাসের গোজামিলে বর্তমান বিশ্বে একমাত্র আমরাই, আমরাই হাবুডুবু খাচ্ছি বুঝে না বুঝে একেবারে বীরদর্পে হিমালয় প্লাসম মাথা উঁচু করে।
হায়রে বাংলাদেশ!
হায়রে স্বাধীনতা!!
হায়রে রাজনীতি!!!
হায়রে নেতৃত্ব!!!!
হায়রে জনগন!!!!!
এ লজ্জা রাখিবো কোথায়?
আর নয়, আর নয় বিলম্ব এ মহান ব্রতে। বাংলাদেশ আজ এশিয়ার ভুরাজনীতি ও অর্থনৈতিক বলয়ে আর্বিভুত হচ্ছে “অর্থনৈতিক বাঘ হিসেবে”। বিভক্তির কারনে থেমে যাওয়া মানেই চক্রাকারে পড়ে যাওয়া। সমঝোতা, সমঝোতা হতেই হবে যে কোন পরিস্থিতি ও পরিবেশে।
সিনহা এম এ সাঈদ
১৮ ডিসেম্বর ২০২১