বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি না নিয়ে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে করা নালিশি মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর ছিদ্দিকের আদালতে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। এরপর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আবেদনটি খারিজ করে দেন।

মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের করা ওই মামলার আসামি করা হয় – পাকিস্তান দলের হেড কোচ সাকলাইন মুশতাক, অধিনায়ক বাবর আজম, মনসুর রানা, শাদাব খান, ফখর জামান, আসিফ আলী, হায়দার আলী, হারিস রউফ, হাসান আলী, ইফতেকার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, শাহনেওয়াজ দাহানি, ওসমান কাদির ও শহীদ আসলামকে।

মামলার অভিযোগ লেখা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আতিথেয়তার সুযোগে স্বাগতিক দেশে এসে প্রথম দিনই পাকিস্তান ক্রিকেট দল বিধিবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে নিজ দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও উড়িয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছে। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে খাটো করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এজাহারে বাদী আল মামুন উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে মামলা করতে প্রথমে শাহবাগ ও মিরপুর মডেল থানায় যান তারা। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেন।

আসামিরা বিদেশি নাগরিক। যেকোনো সময় বাংলাদেশ ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মামলার অভিযোগ আমলে গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আল মামুন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু আগে গত ১৫ নভেম্বর মিরপুরে অনুশীলনের সময় নিজেদের পতাকা টানিয়ে অনুশীলন করে পাকিস্তান দল। বিষয়টি নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

সমালোচনার পর অনুশীলনের সময় পতাকা টানাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অনুমতি চায়।

পতাকা টানানোর ব্যাখ্যাও দেন তারা। পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মাঝে দেশপ্রেম উজ্জীবিত রাখতে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই এ রীতি চালু করেছেন দলটির কোচ সাইকলাইন মুশতাক। তিনি জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে এটি প্রথম চালু করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা তা অনুসরণ করেছি।’

দেশটির যুব দলেও একই নিয়ম কার্যকর রয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এর আগে সাকলাইন মুশতাক যখন অনূর্ধ্ব-১৬ আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্বে ছিলেন একই কাজ করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্পেও এমনটা করতে দেখা গেছে সাকলাইনকে। এবার জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েও তিনি এটি অব্যাহত রেখেছেন।’

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading