জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আঞ্চলিক দেশগুলোকে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি ও রোহিঙ্গাদের ওপর সৃষ্ট নৃশংসতম অপরাধের দায়বদ্ধতা নিরূপণ করা এক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটির সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম কমিটি ও পঞ্চম কমিটির সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এমনকি করোনা টিকার উপযোগী সব রোহিঙ্গাদের টিকা দিচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি এ সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে নিজভূমি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর।

‘এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আঞ্চলিক দেশসমূহকে মিয়ানমার সংকটের সমাধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি শীর্ষক বার্ষিক রেজুলেশন নিয়ে এ কমিটিতে আমরা ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ করে যাবো।

রোহিঙ্গা সংকট ছাড়াও তৃতীয় কমিটিতে বাংলাদেশ যেসব বিষয়গুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেবে তা হলো: ভ্যাকসিন সমতা নিশ্চিতকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধ, শিক্ষাসহ শিশুদের সব অধিকারের সুরক্ষা, অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও অধিকারের সুরক্ষা এবং জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষিত রাখা।

ফাতিমা বলেন, আমাদের সমাজব্যবস্থার ভেতরে ও বাইরে থাকা অসমতা ও ব্যবধানকে কোভিড আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, কোভিড মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিতে যাতে কেউ বাদ না পড়ে তা নিশ্চিত করতে এ কমিটি ভূমিকা রাখবে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading