ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা দেশের বাইরে বসে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ইভ্যালির মতো ডিজিটাল গ্রাহক প্রতারণায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাবনাও কিন্তু দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্সে তিনি একথা বলেন। এসময় বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী।

রাজারবাগ দরবার শরিফের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো সাংবাদিককে যদি হয়রানি করা হয়, তবে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হয়রানি বন্ধে যা করা দরকার, তাই করা হবে।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অতীতেও হয়েছে, আগামীতেও হবে।’

নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির আপত্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসি গঠন করার জন্য যে আইনের কথা সংবিধানে বলা আছে, তা আমাদের মানতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও যে স্পষ্ট আইন হয়নি, সেটা এখন করা হবে।’

সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে নতুন আইন করে সেই আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কোনো সুযোগ নেই। তাই আগে কমিশন গঠন হবে।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত ও বিচার বারবার পেছানো হচ্ছে। এ দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া যায় কি না প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ফৌজদারিতে তদন্তের ভার পুলিশের হাতে। তাই তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ বা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলাপের বিষয় আসছে না। তবে আপনারা যেহেতু বলেছেন, সেহেতু এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমি আলাপ করবো।

ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

বিদেশে বসে যারা সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে তাদের সাইবার অপরাধ আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা বিদেশে থাকলেও বাংলাদেশে অপরাধ করেছেন বলে ধরা হবে।

খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা তো প্রধানমন্ত্রীর হাতে না। খালেদা জিয়া অপরাধী, সেই অপরাধ আইনে বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনা ও দয়ায় যে তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে, এতেই তো তাদের সম্মান-শ্রদ্ধার সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading