২০০৩ থেকে ২০২১—দীর্ঘ সময় দক্ষিণ এশীয় ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্ব পায়নি বাংলাদেশ। শিরোপা দূরের পথ, গত চার আসরে গ্রুপ পর্বের বাধাই পেরোয়নি লাল-সবুজের দল। এবার আচমকাই যেন বদলে গেছে হাওয়া। কোচ, খেলোয়াড় সবার মধ্যেই শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পাওয়ার প্রত্যয়।

আর কদিন বাদে মাঠে গড়াচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ চ্যাম্পয়নশিপ। আসরে অংশ নিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়ছে বাংলাদেশ দল। ঢাকা ছাড়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া শুনিয়েছেন আশার কথা। জিততে চান সাফের শিরোপা।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) এক সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘অনুশীলনে খেলোয়াড়রা কঠোর পরিশ্রম করেছে। খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া। আমরা কিছু একটা করে দেখাতে চাই। লক্ষ্য সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী সাফে সাফল্য পেতে। কোচও আমাদের মতো ট্রফি জিততে চাইছেন। আশা করছি, সেই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারব।’

এর আগে চারটি সাফের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। গত চার আসরে ১২ ম্যাচ খেলে লাল-সবুজের দল জয় পেয়েছিল মাত্র তিনটিতে, ড্র দুটি এবং হেরেছে সাত ম্যাচে।

২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর কেটেছে ১৮টি বছর, সাফল্য নেই। অবশ্য প্রতিবারই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা এই টুর্নামেন্টে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন থাকে। এবারও শিরোপার স্বপ্ন।

আসরের উদ্বোধনী দিন ১ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ৪ অক্টোবর ভারত, ৭ অক্টোবর মালদ্বীপ ও ১৩ অক্টোবর নেপালের মুখোমুখি হবে। আর ১৬ অক্টোবর হবে ফাইনাল।

দলগুলোর মধ্যে ফিফা র্যা ঙ্কিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত (১০৭), এরপর মালদ্বীপ (১৬০) ও নেপাল (১৬৮)। বাংলাদেশের (১৮৯) চেয়ে পিছিয়ে কেবল শ্রীলঙ্কা (২০৫)।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading