অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের স্কোয়াডে আছেন মোট ১৭ জন। কিন্তু তামিম ইকবাল আর লিটন দাস চোটে আক্রান্ত হওয়ায় বিশেষজ্ঞ ওপেনার হিসেবে আছেন মাত্র দুইজন। তারা হলেন দুই বাঁহাতি সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তাহলে সিরিজে যদি কেউ চোটে আক্রান্ত হয়, ওপেন করবেন কে? প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, তিনি বিকল্প হিসেবে সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুনের নাম ভেবে রেখেছেন!

পাঁচটি ম্যাচ হবে মাত্র ৭ দিনে। তাই নতুন করে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। আজ রবিবার সিরিজপূর্ব ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। সাকিব আছে, সে ওপেনিংয়ে উঠে আসতে পারে। মোহাম্মদ মিঠুন দলে ফিরে এসেছে। যদিও সে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। যদি কোনো ওপেনার চোট পায় এই সংস্করণে প্রয়োজনে সে ওপেন করতে পারে। আশা করি, ওপেনারদের কিছু হবে না। তবে কিছু হয়ে গেলে,  আমাদের কাছে বিকল্প আছে।’

সাকিব সাধারণ রঙ্গিন পোশাকে ৩ নম্বরে ব্যাট করেন। এটাই তার প্রিয় পজিশন। এই পজিশনে তিনি প্রচুর রান করেছেন। এর আগে মিডল অর্ডারে খেলতেন। কিন্তু তিনি দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনই ওপেন করেননি। মিঠুনের অবশ্য ওপেন করার ইতিহাস আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে একসময় ওপেন করতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বাংলাদেশের হয়ে একটি ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করেছেন মিঠুন। ২০১৬ এশিয়া কাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৪১ বলে ৪৭ রান ওপেনার হিসেবে তার সর্বোচ্চ।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিসিবির যে সমঝোতা এই সিরিজ নিয়ে, তাতে সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থেকে কারও আর নতুন করে বলয়ে ঢোকার সুযোগ নেই। জিম্বাবুয়েতে সুরক্ষা বলয়ে খেলে দেশে ফিরে সরাসরি আবার বলয়ে ঢুকতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। দেশে থাকা ম্যাচ অফিসিয়ালস ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের কোয়ারেন্টিন শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে পা রাখার ১০ দিন আগে থেকেই।

ওপেনিংয়ে বিকল্প নিয়ে তাই একটি সঙ্কটের জায়গা আছে বাংলাদেশের।

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাকিব ব্যাট করেন সাধারণ তিন নম্বরে। দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কখনোই কোনো পরিস্থিতিতে ওপেন করেননি তিনি। মিঠুন অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে একসময় ওপেন করতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বাংলাদেশের হয়ে হয়ে একটি ওয়ানডে ও ছয়টি টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস শুরু করেছেন তিনি। এসবের মধ্যে আছে ২০১৬ এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের ম্যাচও। ২০১৬ এশিয়া কাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৪১ বলে ৪৭ রান করলেও ওপেনিংয়ের বাকি ৫ ইনিংসে ভালো করতে পারেননি।

এছাড়া বাংলাদেশের স্কোয়াডে থাকা অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেনার করাসহ টপ অর্ডারে ব্যাট করেন নিয়মিতই।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading