নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া নিহতদের ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

বুধবার (৪ আগস্ট) থেকে এসব মরদেহ পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হবে। স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

আগুনে পোড়া মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সবগুলো মরদেহ প্রায় আগুনে পুড়ে কয়লার মতো হওয়ায় কারও চেহারা বোঝা যায়নি। পরে পরিচয় শনাক্তে নিহতদের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ডিএনএ পরীক্ষা করে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এসব মরদেহ বুধবার দুপুর ২টা থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি বলেন, প্রথম দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা ২৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পরের দুদিন ধারাবাহিকভাবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থাকা মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এখনো তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, মরদেহ দাফন ও সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা নগদ দেয়া হবে।

গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জের হাসেম ফুড লিমিটেডের ৬ তলা কারখানা ভবনে আগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৮ টি ইউনিট টানা প্রায় ৪৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading